কারও প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে আমরা সাধারণ আলিঙ্গন (hug) করে থাকি। আর কাছের মানুষ যখন কিছুটা বা অনেকটা সময়ের জন্য আমাদের থেকে দূরে যাচ্ছে, তখন আবেগপ্রবণ হয়ে আলিঙ্গন করাটা খুব স্বাভাবিক। বিমানবন্দরে (Airports) প্রায় দেখা যায় প্রিয় মানুষকে ছেড়ে আসতে গিয়ে শেষ মুহূর্তে আমরা কম-বেশি সবাই আলিঙ্গন করি। তবে সেই আলিঙ্গন শেষ করতে যদি আপনার দীর্ঘ সময় লাগে? যদি মনে হয় আরেকটু বাহুডোরে বেঁধে রাখি কাছের মানুষটিকে! তবে আপনি সমস্যায় পড়তে চলেছেন। অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) ডানেডিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Dunedin Airport) আলিঙ্গনের জন্য সর্বোচ্চ তিন মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হল, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বির্তক ছড়িয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের ডানেডিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (Duneding Airport) বাইরে সর্বত্র টাঙানো সেই নীল পোস্টারটির ছবি তুলে তা সমাজ মাধ্যমে (Social Media) আপলোড করেছেন এক ব্যক্তি। যেই দৃশ্য দেখার সাথে সাথেই নিজেদের মতামত জানাতে শুরু করেছেন নেট নাগরিকরা। যাতে লেখা, “সর্বোচ্চ তিন মিনিটের আলিঙ্গন। বিদায়ে অনুরাগ জানাতে ব্যবহার করতে পারেন কার পার্কিং।” এদিকে এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের এহেন পদক্ষেপে কেউ লিখেছেন, যাত্রীরা আলিঙ্গনের জন্য কতটা সময় নেবে সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কেউ আবার তার কথায় সায় দিয়ে লিখেছেন, মানুষ তার প্রিয় জনকে কীভাবে আলিঙ্গন করবে এবার সেটাও কী ঠিক করে দেবে এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ।

যদিও এ বিষয়ে বিমানবন্দরের সিইও (Airport CEO) ড্যান ডি বোনো জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসে এ নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে যাতে বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় যানজটের মতো পরিস্থিতি এড়ানো যায় এবং পরিবেশ সুশৃঙ্খল রাখা যায়। পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, তিন মিনিট যথেষ্ট সময় প্রিয়জনকে বিদায় জানাতে। এ সময়সীমা আসলে একটি মজার উপায়ে বলা, আপনিও আলিঙ্গন (hug) করুন এবং অপরকেও করার সুযোগ দিন।
