Thursday, November 6, 2025

মমতাকে বহিষ্কারের ‘প্রায়শ্চিত্ত’-স্বীকারোক্তি প্রদীপের, ‘ভুল’ নিয়ে তোপ তৃণমূলের

Date:

Share post:

লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবি। বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসাবে দেশে মাথা তুলে দাঁড়াতে গিয়েও আঞ্চলিক দলের কাছে রীতিমত হাত পাততে হচ্ছে বর্তমান কংগ্রেসকে (Congress)। সেখানে গোটা দেশকে পথ দেখাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। সেই পথই যে কংগ্রেসকে দেখানোর এই মুহূর্তে কেউ নেই, কার্যত তা-ই মেনে নিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য (Pradip Bhattacharya)। তাঁর দাবি, কংগ্রেস আজও দল থেকে তৃণমূল নেত্রীকে বহিষ্কারের প্রায়শ্চিত্ত করছে।

জোট তৈরি করেও কংগ্রেসের নেতৃত্বের কারণে একাধিক রাজ্যে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি বিরোধী শক্তি। কংগ্রেসের কোনও পন্থাই বিজেপিকে প্রতিহত করতে ফলপ্রসু হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে প্রদীপ ভট্টাচার্যের আক্ষেপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহিষ্কার (expel) নিয়ে। সেই দিনটি স্মরণ করে এক দলীয় সভায় প্রদীপ বলেন, “যেদিন বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে বহিষ্কার করা হয় তখন সোমেন মিত্রর (Somen MItra) ফোন এলো। সীতারাম কেশরীর ফোন এল, ওকে বহিষ্কার করতে হবে। কারণ আমরা বলেছি। আমি সোমেনকে বলেছিলাম তুমি কোরো না। কিন্তু সোমেনের উপর এমন চাপ তৈরি হয়েছিল যে করতে বাধ্য হয়েছে। তার প্রায়শ্চিত্তটা কংগ্রেস দলকে আজও করতে হচ্ছে। আমি জানি না এই খাদ থেকে আমরা কখন কীভাবে উঠে আসব।”

আদতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) স্বীকৃতি না দিয়ে কংগ্রেস সেদিন যে ভুল করেছিল তার জন্যই আজ বাংলায় সিপিএমের (CPIM) অপশাসনের অবসানে উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে দাবি রাজ্যের শাসকদলের। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) স্মরণ করিয়ে দেন, “মমতা সিপিএমের অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়তে যাচ্ছিলেন। আর কংগ্রেস (Congress) সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ঘর করে চলছিল। বাংলার মানুষের উপর অত্যাচার অবিচারের প্রতিবাদে সিপিএম বিরোধী আন্দোলন করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস থেকে বারবার তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছে। লাগাম টেনে ধরা হয়েছে।”

তবে ঠিক যেভাবে বর্তমানে গোটা দেশের রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা প্রশ্নের মুখে, সেভাবেই বাংলাতেও অস্তিত্ব সংকটে কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথকেই বাংলার মানুষ বেছে নিয়েছেন দাবি করে কুণাল কংগ্রেসকে মনে করিয়ে দেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কংগ্রেস স্বীকৃতি দেয়নি মর্যাদা দেয়নি। কোণঠাসা করেছে, বহিষ্কার করেছে। তার কুফল কংগ্রেস ভুগছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন দল তৈরি করেছিলেন বলেই আজ সিপিএমের পতন হয়েছে। এবং বাংলার মানুষ উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন। কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মর্যাদা দিতে, লড়াইয়ের স্পিরিটটাকে স্বীকৃতি দিতে ভুল করেছিল। বাংলার মানুষ মমতার বহিষ্কারকে আদৌ সঠিকভাবে নেয়নি। তাই তাঁকে বাংলায় প্রতিষ্ঠা দিয়েছে।”

spot_img

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...