কেন্দ্রীয় সরকারের আনা নতুন শ্রমবিধি রাজ্য সরকার মানবে না। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় শ্রম দফতরের বাজেট আলোচনা শেষে জবাবী ভাষণে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার শ্রমিকদের ভাঁওতা দিচ্ছে। কেন্দ্রের নতুন শ্রম আইনে শ্রমিকের সংজ্ঞা বদলে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শ্রমবিধিতে বলা হয়েছে মাসে ১৫ হাজার টাকার বেশি রোজগার করলে তাকে আর শ্রমিক বলা যাবে না। ফলে ওই বিধি চালু হলে অসংখ্য শ্রমিক প্রভিডেন্ট ফান্ড, ইএসআইযের মতো সামাজিক সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন। কেন্দ্রের নতুন শ্রম আইনের বিরুদ্ধে সকলকে একযোগে লড়াই করারো তিনি ডাক দেন। একই সঙ্গে শ্রমিক শ্রেণীর উন্নয়নে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপেকর কথা শ্রম মন্ত্রী বিধানসভায় তথ্য সহ তুলে ধরেন।

মন্ত্রী আরও জানান চা বাগানে শ্রমিকদের জন্য যতদিন শ্রম পর্ষদ স্বীকৃত ন্যুনতম মজুরি চালু হচ্ছে ততদিন তাঁদের অন্তর্বতী বাড়তি বেতন দেওয়ার প্রক্রিয়া রাজ্য সরকার চালিয়ে যাবে। তিনি অভিয়োগ করেন চা বাগানের শ্রমিকদের কথা পূর্বতন বাম সরকার ভাবেনি। কিন্তু ২০১১ সালের পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার তাদের কল্যাণে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বর্তমানে রাজ্যের চা শ্রমিকরা দৈনিক ২৫০ টাকা মজুরি পাচ্ছেন। ৯২ টি চা বাগান শ্রমিকদের জন্য ক্রেসের ব্যাবস্থা করেছে।

৫৪ টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করেছে চা শ্রমিকদের জন্য। চা বিজেপি শাসিত আসাম বা ত্রিপুরার থেকে অনেক বেশি। পাশাপাশি বন্ধ চাবাগান শ্রমিকদের জন্য মাসে ৩৫ কেজি করে খাদ্যশস্য এবং ১৫০০ টাকা করে অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। যা অন্য রাজ্যে নেই। একই রকম ভাবে চটকলের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাম আমলের ১৫৭ টাকা বেড়ে বর্তমানে সমস্ত সুযোগ সুবিধা মিলিয়ে হয়েছে ৭২০ টাকা। শ্রমমন্ত্রী জানান এখন রাজ্যে আর জুট মিল বন্ধ হয় না,শ্রম দিবস নষ্ট হয় না। রাজ্যে শ্রমিক অসন্তোষ নেই ।

ব্যায় বরাদ্দের আলোচনায় বিরোধী দল উপস্হিত না থাকায় শাসক দলের নির্মল ঘোষ,অসিত মজুমদার , সমীর জানা ,সুকান্ত পাল এই ব্যায় বরাদ্দকে সমর্থন জানিয়ে তাদের বক্তব্য রাখেন। আলোচনার শেষে শ্রম দফতরের এক হাজার ২৩৯ কোটি ২২ লক্ষ টাকার বাজেট বরাদ্দ সভায় গৃহীত হয়।

আরও পড়ুন- কত ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড? জানতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের ১০ প্রতিনিধি, নিরুত্তর EC

_

_

_

_

_

_
_