দোল (Holi) আসতে এখনও দুদিন বাকি কিন্তু তার আগেই যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে (Jogesh Chandra Chaudhuri College) জোর করে পড়ুয়াদের রং মাখানোর ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনার পরিস্থিতি ক্যাম্পাসে। এমনকি সাংবাদিকদেরও ইচ্ছের বিরুদ্ধে রং মাখানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ বুধবার কলেজে দোল খেলার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। বহিরাগতরা জোর করেই জল- রং মাখিয়ে দেয়। অসন্তোষ প্রকাশ করেন চিত্র সাংবাদিকদের একাংশও। এরপরই ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দাবিতে আদালতে মামলা করেন এক ছাত্র। বৃহস্পতিবার শুনানি হওয়ার কথা।

এদিন মূলত কলেজের ডে এবং আইন বিভাগের পড়ুয়াদের মধ্যে আবির খেলা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। এই সময়েই পরিচালন সমিতির বৈঠকে যোগ দিতে কলেজে গেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। তারপরেই আচমকা হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। সাংসদকে ঘিরেও কয়েকজন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এই প্রসঙ্গে মালা রায় বলেন, তিনি বৈঠক করতে কলেজে এসেছিলেন। কে বহিরাগত আর কে বহিরাগত নয় এই বিষয়টি প্রশাসন, কলেজ কর্তৃপক্ষ দেখবে। এই ঘটনার পর তড়িঘড়ি যোগেশচন্দ্র কলেজের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ তারিখ পর্যন্ত কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় বলেন, আজ কোনও দোল উৎসব ছিল না, কলেজে কোনও অনুষ্ঠান ছিল না, বসন্ত উৎসবও ছিল না। কারা এল, কেন এল, কী উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোন কলেজে রং খেলতে গিয়ে কী সমস্যা হয়েছে তাঁর সঙ্গে সামগ্রিক রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তবে কখনই কারোর ইচ্ছের বিরুদ্ধে কাউকে রং মাখানো উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

–

–
–

–

–

–

–

–

–

–