নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে নিরীহ পথচারীকে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার টলিউডের পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস ওরফে ভিক্টো। আর এই ঘটনার পর টলিউডের একটা বড় অংশ সমালোচনায় সরব। দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন একাধিক অভিনেতা থেকে পরিচালক। সেইসঙ্গে ওই দিন ঘাতক গাড়িতে অন্য যে অভিনেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন, উঠেছে তাদের শাস্তির দাবি। তবে টলিউডের এই দুর্বল প্রতিবাদকে কটাক্ষ শাসকদলের। সাধারণ মানুষের গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যুতে টলিউডের বিপ্লব হচ্ছে না কেন, প্রশ্ন করেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো নিয়ে এক সময় দীর্ঘ প্রতিবাদ আন্দোলন করেছিলেন অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য। ভিক্টোর ঘটনাতেও তিনি সমানভাবেই সরব হয়েছেন। এবার সরব অভিনেতা রাহুল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, কেন মদ্যপ থাকা সত্ত্বেও ভিক্টোর গাড়িতে অন্য অভিনেত্রীরা সওয়ার হয়েছিলেন। তাদের সাধারণ নাগরিক বোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন ওরফে ঋ স্বীকার করেন তিনি ওইদিন গাড়িতেই ছিলেন। তবে এমন দুঃখজনক ঘটনা ঘটবে তিনি নাকি ভাবতে পারেননি। এই ঘটনার পর তিনি কথা বলার পরিস্থিতিতে নেই, এমন নির্লজ্জ কথাও তার মুখে শোনা যায়। টলিউড থেকেই গাড়িতে থাকা অভিনেত্রীদের গ্রেফতারের দাবিও উঠেছে। অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, যে অভিনেত্রী গাড়িতে ছিলেন তিনি পালিয়ে গেলেন কেন। মৃত্যু কি কোনও ইয়ার্কি।

ঠাকুরপুকুরের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন মৃত আমিনুর রহমানের পরিবার। তবে গোটা ঘটনায় টলিউডের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। কুণাল ঘোষ প্রশ্ন করেন, সাধারণ মানুষের মৃত্যু হলে টলিউডের শিল্পীরা নীরব কেন? কেন অভিযুক্তদের চরম শাস্তি দাবি করছেন না তারা? কেন পরিচালক, অভিনেতাদের কোনও প্রতিবাদ বা মোমবাতি মিছিল সাধারণ মানুষের জন্য হয়নি, প্রশ্ন কুণালের।

আরও পড়ুন- মঙ্গলে সারা দেশে লাগু ওয়াকফ আইন, প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল জঙ্গিপুর

_

_

_

_

_

_

_