জঙ্গি হামলায় ২৬ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যুর পরে কাশ্মীরে বাড়ল নিরাপত্তা। নৃশংস ঘটনা ঘটিয়ে সীমান্তের ওপারে জঙ্গিরা চলে যাওয়ার পরে জোর তল্লাশিতে দেশে স্বরাষ্ট্র দফতর (MEA)। জঙ্গিদের খুঁজে পেতে এখনও পর্যন্ত ১৫০০ কাশ্মীরিকে আটক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) দাবি করেছেন খুব তাড়াতাড়ি হামলাকারীদের কড়া জবাব দেওয়া হবে। আর সেখানেই প্রতিরক্ষা (Defence Ministry) ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চূড়ান্ত ব্যর্থতার দায় নিয়ে অমিত শাহর (Amit Shah) পদত্যাগ দাবি করল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।

বৈসারন উপত্যকার মতো পর্যটন স্থলে মঙ্গলবার হামলার সময় কোনও নিরাপত্তা কর্মীকে ধারে কাছে দেখা যায়নি। প্রায় আধঘণ্টা ধরে জঙ্গিরা নরহত্যা চালানো সত্ত্বেও খবরই পায়নি সেনাবাহিনী বা গোয়েন্দা দফতর। একদিকে পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখে সাধারণ মানুষকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছিল দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গোটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে হুঁশ ফিরেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh)। বুধবার বিবৃতি দিয়ে তিনি জানান, এই কাজের জন্য যারা দায়ী অদূর ভবিষ্যতে (near future) কঠোর প্রতিশোধ পাবে। শুধু যারা গুলি চালিয়েছে সেই দানবদের শাস্তি দেব না, যারা এই বর্বরতার জন্য দায়ী, পর্দার পিছন থেকে ষড়যন্ত্র করেছে তাদের সবাইকে দেখে নেব। হামলাকারী ও তার মালিকদের নিশানা করা হবে।


ঠিক যেন চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে পরিস্থিতি দেশের প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র দফতরের। আদতে এই ধরনের বক্তব্য যে নিজেদের দোষ ঢাকতে তা স্পষ্ট করে দেয় তৃণমূল। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, সীমান্ত থেকে পহেলগাম (Pahalgam) অনেকটা দূরত্ব। সীমান্ত পার করে এসে ঢুকল। এখানে আশ্রয় নিয়ে রইল কাশ্মীরে কোথাও। তারপরে এতটা পথ সফর করল। তারপর তারা হামলা করল। এবং আশ্চর্যজনকভাবে ওই জায়গায় কোনও পাহারার ব্যবস্থা ছিল না। কোনও সেনাবাহিনী, কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। পাল্টা কোনও গুলিও চলল না। সীমান্ত পাহারা দিতে ব্যর্থ। সেনার গোয়েন্দাও ব্যর্থ।

যে দলের নেতারা বাংলার সীমান্ত রক্ষায় ব্যর্থ, সেই দলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কেন এই ব্যর্থতার দায় নেবেন না, প্রশ্ন কুণালের। দলের তরফ থেকে অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি করে কুণাল ঘোষের দাবি, গোয়েন্দা ব্যর্থতা, স্বরাষ্ট্র দফতরের ব্যর্থতা ঠেকিয়ে তার থেকে নজর ঘোরাতে যারা সাম্প্রদায়িক প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বোধহয় সেটা ঠিক হচ্ছে না। কারা সেফ প্যাসেজ দিয়েছে এই জঙ্গিদের। এই চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরে মৃতদেহ মালা দেওয়ার ছবি তুলতে গিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এই গোটা ঘটনার দায় নিয়ে কেন পদত্যাগ করবেন না অমিত শাহ।


–

–

–

–

–

–

–
