চূড়ান্ত সৌজন্য: জগন্নাথধামে সস্ত্রীক দিলীপের সঙ্গে আলাপচারিতা মমতার, মন্দির-শৈলীর ভূয়সী প্রশংসা বিজেপি নেতার

রাজনৈতিক সৌজন্যের চূড়ান্ত নিদর্শন। সস্ত্রীক বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)  সঙ্গে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে আলাপচারিতা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। বুধবার, অক্ষয় তৃতীয়ার মাহেন্দ্রক্ষণে দ্বারোদ্ঘাটন হয় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে। হাওড়ার শ্যামপুরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান সেরে সেখানে যান দিলীপ ও রিঙ্কু ঘোষ। মন্দির ঘুরে দেখে তার শৈলীর ভূয়সী প্রশংসা করেন দিলীপ। তাঁর কথায় আন্তর্জাতিক মানের কারুকার্য হয়েছে।

দিঘায় সাড়ম্বরে উদ্বোধন করা হয় জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple)। রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণকে ‘সম্মান’ জানিয়ে নববিবাহিতা স্ত্রী রিঙ্কু ঘোষকে নিয়ে সেখানে পৌঁছন দিলীপ। আগেই মন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন দিলীপ। বলেন, “আমি সুযোগ পেলে দিঘা যাব। মন্দিরের জায়গায় মন্দির থাকবে। ভগবানকে নিয়ে রাজনীতি নয়। জগন্নাথ পুরী থেকে এতদূর চলে এলেন, আর আমরা একটুখানি যাব না?“ রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির কথায়, ”অক্ষয় তৃতীয়ার দিন একটা শুভ দিন। এই দিনে আমরা পূজার্চনা, ধর্মীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েই থাকি। এ রকম একটা দিনে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হচ্ছে। সেখানে আমাকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। কেন যাব না?’’ দিলীপকে প্রশ্ন করা হয়, কাঁথিতে কেন থামলেন না? সেখানে সনাতনীদের সভা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। দিলীপ বললেন, ’’আমাকে তো সেখানে কেউ আমন্ত্রণ জানাননি। দিঘায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাই যাচ্ছি।’’

এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সেই মন্দিরে পৌঁছন দিলীপ। তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas) ও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। মন্দিরের ভিতরে ঢুকে বিগ্রহ দর্শন করেন দিলীপ-রিঙ্কু।

সেখানে মন্দিরের কারুকাজ দেখে মুগ্ধ দিলীপ। বলেন, আন্তর্জাতিক মানের মন্দিরের কাজ হয়েছে। রাজ্য সরকারের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন বিজেপি নেতা। মন্দির চত্বর তাঁকে ঘুরে দেখান অরূপ-কুণাল।
আরও খবরদিঘার জগন্নাথ মন্দির আগামী হাজার বছরের তীর্থস্থান: দ্বারোদঘাটনে বলেন মুখ্যমন্ত্রী, প্রসাদ-ছবি যাবে বাংলার ঘরে ঘরে

এর পর মন্দিরের ভিতরের কার্যালয়ে সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষকের স্বাগত জানান খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তিনি বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন। মমতা জানান, রাজ্যের ৭ মন্ত্রী এই মন্দির উদ্বোধনে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। তীব্র গরমে কষ্টের কথাও উল্লেখ করেন মমতা। দিলীপের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের।

বিধানসভায় থাকাকালীন অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে স্পিকারের ঘরে আড্ডা মারার কথা উল্লেখ করেন দিলীপ। একেবারে ঘরোয়া আড্ডার মেজাজ ছিল সেখানে।