সম্প্রতি কলকাতায়(Kolkata) পর পর অগ্নিকাণ্ডে(Fire Incident) প্রাণহানি ঘটনার জেরে বাণিজ্যিক ভবনগুলিতে অগ্নি সুরক্ষা বিধি নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে রাজ্য সরকার। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর(Urban Development) জানিয়ে দিয়েছে, সাধারণ মানুষের জীবন অমূল্য এবং তার সঙ্গে কোনও আপস বরদাস্ত করা হবে না। নির্দেশিকা জারি করে বিভিন্ন অবস্থান স্পষ্ট করেছে রাজ্য।

নির্দেশিকায় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর জানিয়েছে,
• বাণিজ্যিক বাড়িগুলিকে কেন্দ্র করে ছাদ ও সিঁড়ির জায়গা ব্যবহারে যে অনিয়ম দেখা যাচ্ছে, তা ভবিষ্যতে তা আর বরদাস্ত করা হবে না।
• ছাদ কোনওভাবেই ভাগ করা যাবে না বা তার প্রবেশে কোনও বাধা সৃষ্টি করা চলবে না।
• ছাদের দরজা, করিডোর, সিঁড়ি, বারান্দা ও র্যা ম্প – সব কিছুই আলোকিত ও বাধামুক্ত রাখতে হবে।
• ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্ট ১৯৫০ অনুসারে, লিফট লবি ও শাফটকে অগ্নি প্রতিরোধকভাবে সজ্জিত করতে হবে।
• প্রতিটি বেসমেন্টে কমপক্ষে দুটি করে প্রস্থানপথ থাকতে হবে।
• সিঁড়ির কূপ বা করিডোরে কোনও মালপত্র রাখা যাবে না।
• কোনও বাড়িতে বাণিজ্যিক ও আবাসিক ব্যবহার মিলিয়ে থাকলে পৃথক প্রস্থান ব্যবস্থা রাখতেই হবে।
• করিডোর ও সিঁড়ির প্রস্থ নির্ধারিত নিয়ম মেনে রাখতে হবে।
• ছাদের উপর লিফট রুম, সাপোর্ট ট্যাঙ্ক, টয়লেট, স্টোরেজ, বা কোনো রকম অস্থায়ী নির্মাণ অনুমোদন করা হবে না।
রুফটপ কিংবা খোলা ছাদ বিক্রির জন্য মিউটেশনের অনুমতিও দেওয়া যাবে না।

নগর উন্নয়ন দফতর স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ফায়ার সেফটি সার্টিফিকেট (FSC), ফাইনাল স্টেবিলিটি রিপোর্ট (FSR), এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুরক্ষা নথি ছাড়া কোনও অবস্থাতেই বিল্ডিংয়ের অনুমতি দেওয়া হবে না। ট্রেড লাইসেন্সের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

নির্দেশিকার শেষে রাজ্যের সমস্ত পুর প্রশাসনকে নিয়মিতভাবে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ, অরক্ষিত ও অননুমোদিত নির্মাণ পরিদর্শন করতে হবে। বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স, স্টোরেজ, ও হাইরাইজ বিল্ডিংগুলির উপর নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে। কেউ এই নিয়মকে অমান্য করলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর।

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–