ওটিটি আর সিরিজের ভিড়ে কবেই হারিয়ে গিয়েছে গুপি-বাঘা। কার্টুন চ্যানেলেও মন বসে না ছোটদের। মোবাইলের দৌরাত্ম্যে ছোটদের কল্পনাশক্তিও যেন যান্ত্রিক করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। বাস্তবে ছোটরা কী ভাবছে, ভাবার মানুষ খুবই কম। ছোটদের সেই ভাবনা নিয়ে চলচ্চিত্রে এলো ‘প্রফেসর রে’। কল্পনার জগতে সময়ের কাঁটা উল্টো ঘুরিয়ে এক খুদে হাবলুর গল্পের সঙ্গে মিল খুঁজে পাবে আজকের দিনের ছোটরা। রবিবার নন্দন-৩ প্রেক্ষাগৃহে সেই ছবির মুক্তি ঘিরে চাঁদের হাট। এদিন এই প্রেক্ষাগৃহেই মুক্তি পায় আরও একটি ছোটদের চলচ্চিত্র – তিথি ও কাবুলিওয়ালা।

একান্নবর্তী পরিবারে মোবাইলের দুনিয়ায় আটকে পড়া বড়দের ভিড়ে বড় একলা হাবলু। হঠাৎই তার দেখা হয়ে যায় হারিয়ে যাওয়া টাইম ট্রাভেল নিয়ে গবেষণা চালানো প্রফেসর রে-র সঙ্গে। নিজের হারাতে বসা স্বপ্নগুলো প্রফেসরের মাধ্যমে ফিরে পাওয়ার শখগুলো পূরণ হতে থাকে হাবলুর। আর বাকিটা? দর্শকের শখ পূরণ করতে যেতে হবে নন্দন-৩ প্রেক্ষাগৃহে।

অভিজিৎ পালের ছোটদের এই গল্প কল্পবিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে খুদেদের জন্য। দীর্ঘ কর্মশালা থেকে শিশুশিল্পী আরভ মুখোপাধ্যায়কে হাবলুর চরিত্রে পরিচালক লোপামুদ্রা মুখোপাধ্যায় এমনভাবে তৈরি করেছেন, যে এই ছবিতে তাকে কল্পনাপ্রবণ খুদেরা সহজেই নিজেদের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলতে পারবে।

এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন দেবশংকর হালদার। পর্দায় তাঁকে দেখা না গেলেও প্রফেসর রে-র চরিত্রে তাঁর কণ্ঠ যেন ছোট্ট হাবলুর মনের কথা বলেছে। এই ছবি মুক্তিতে সাফল্য কামনা করে দেবশংকর বলেন, এটিকে অন্যরকম ভাবনা বলেই প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে এই ছবি দেখা উচিত। এই ছবি ছোটদের ছবি বলে আলাদাভাবে দূরে সরিয়ে রাখার কখনই নয়। রবিবার ছবির মুক্তি অনুষ্ঠানে অভিজিৎ পাল, পরিচালক লোপামুদ্রা মুখোপাধ্যায়, শিশু অভিনেতা আরভ ও তিয়ানা দত্ত ছাড়াও বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। সেই সঙ্গে এদিন মুক্তি পায় আরও একটি ছোটদের ছবি – তিথি ও কাবুলিওয়ালা। তবে এখানেই শেষ নয়। পরিচালক জানালেন, ছোটদের নিয়ে আরও একটি চলচ্চিত্র তাঁরা তৈরি করছেন। যার শুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন – বীর সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা! তৃণমূলের শহিদতর্পণ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে ব্যাপক সাড়া রাজ্যে

_
_

_

_

_

_

_

_

_

_
