ঘুমোতে যাওয়া নিয়ে বচসা। তার জেরে নিজেরই নিরাপত্তারক্ষীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতা সেজাজুল হক শাহ ওরফে মিঠু শাহ (Mithu Sah)। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন নিরাপত্তারক্ষী রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল জাহাঙ্গির আলম। ঘটনায় নদিয়ার (Nadia) থানারপাড়া এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।

ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে বিধায়ক তাপস সাহার (Tapos Saha) স্মরণসভা থেকে ফিরে আসার পর। অভিযোগ, ওই অনুষ্ঠানের পরে অতিরিক্ত মদ্যপান করে বাড়ি ফেরেন মিঠু শাহ। রাতে নিজের ঘরে যেতে বলায় নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। আচমকাই একটি এক নলা দেশি পিস্তল বার করে গুলি ছোড়েন মিঠু। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় কোনও মতে প্রাণে বাঁচেন নিরাপত্তা রক্ষী। এরপরেই তৃণমূল (TMC) নেতার স্ত্রী তথা নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মানোয়ারা শাহ নিরাপত্তারক্ষীকে নিজের ঘরে নিয়ে যান এবং পুলিশে খবর দেন।

ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি এক নলা দেশি পিস্তল, দুটি সেভেন ও ৯ এমএম পিস্তল, ৮ রাউন্ড কার্তুজ এবং একটি গুলির খোল উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত মিঠুকে শাহকে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শূন্যে গুলি চালিয়ে ছিলেন বলে দাবি করলেও রাপত্তারক্ষীকে লক্ষ্য করেই গুলি ছোড়া হয়েছিল বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। মিঠুর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা এবং অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে।

তেহট্টের প্রভাবশালী তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার ঘনিষ্ঠ ছিলেন মিঠু শাহ (Mithu Sah)। বর্তমানে করিমপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি পদে রয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পর তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রাখার অভিযোগ ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতার স্ত্রী মানোয়ারা শাহ বলেন, “বিধায়ক তাপস সাহার মৃত্যুর পর ওঁর মানসিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। উনি সুস্থ থাকলে এমন কিছু ঘটাতেন না। তবে গুলি চালানোর বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”

–

–
–

–
–

–

–

–

–

–
