বঞ্চনা করার সময় বিজেপি নেতাদের প্রথম মনে পড়ে বাংলার কথা। আবার অপমান করার সময়ও তাই। যুগে যুগে বারবার প্রমাণিত হয়েছে বিজেপি শাসিত গোবলয়ের রাজ্যগুলি থেকে মেধা থেকে কৃষ্টি – সব দিক থেকে এগিয়ে বাংলা। তাই বাংলাকে অপমানজনক কথা বলার মধ্যে দিয়েই সেই খামতি ঢাকতে চান বিজেপি নেতারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh) সেই পথেই আরও একবার বাংলাকে অপমান করলেন। যার জবাবে ক্ষমা চাওয়ার দাবি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের।

বিহারের একটি মঞ্চ থেকে বাংলাকে নির্লজ্জ আক্রমণ করেন গিরিরাজ সিং। তিনি বলেন, বিহারকে কী আপনারা বাংলা বানাতে চান? অদ্ভুত এই প্রশ্নের পাল্টা গিরিরাজের মুখোশ খুলে দেয় তৃণমূল। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ স্পষ্ট করে দেন, গিরিরাজ সিং অত্যন্ত খারাপভাবে বাংলাকে অপমান করেছেন। এটা বাংলার ইতিহাস, কৃষ্টি, সংস্কৃতি বাংলার মানুষকে অপমান করা। কোন গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)? যে গিরিরাজ সিং এখানে ১০০ দিনের কাজ করিয়ে টাকা দেয় না। কেন্দ্রের বকেয়া (dues) বাংলার অধিকার বাংলাকে দেয় না।

সেই সঙ্গে তিনি আরও মনে করিয়ে দেন, যিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল দেখা করতে গেলে কার্যত পালিয়ে বেড়ান। সেই গিরিরাজ সিং। বাংলাকে অপমান করেছেন, এর জবাব গিরিরাজ সিং পাবেন।

বাংলার বাস্তব ছবি তুলে ধরে বিজেপির চিন্তাভাবনার পার্থক্য স্পষ্ট করে দেন কুণাল। তিনি বলেন, এই মুহূর্ত পর্যন্ত কৃষি থেকে শিল্প বহু ক্ষেত্রে সবেতে বাংলা এগিয়ে। বাংলার ইতিহাস, কৃষ্টি সংস্কৃতি। বাংলা আজ যা ভাবে গোটা ভারতবর্ষ পরে তা ভাবে। মহামতি গোখলে থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সেটাই মূল বার্তা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একের পর এক প্রকল্প (scheme) নিচ্ছেন আপনারা সেগুলো নকল করছেন। আপনারা সেই প্রকল্পগুলোর নাম করে মানুষকে ভাঁওতা দিচ্ছেন। ঠিক মতো পালনও করছেন না।

সেই সঙ্গে বাংলাকে অপমান করার জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, গিরিরাজ সিং যা বলেছেন তার জন্য বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আর ক্ষমা না চাইলে এর উপযুক্ত জবাব গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে অতীতেও তারা পেয়েছেন। ভবিষ্যতেও পাবেন।

–

–

–

–

–

–
–
–
–