Monday, November 10, 2025

ঝলসে যাওয়া শরীরের অংশ, দেহ! সনাক্তকরণের অপেক্ষায় দুই শতাধিক দেহাবশেষ

Date:

Share post:

বিমানের যাত্রী ২৪১ জনই মৃত। বিজি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে থাকা চিকিৎসকদের মধ্যে কতজন মৃত সেই সংখ্যা এখনও অপ্রকাশিত। সেই সঙ্গে জানা যায়নি মেঘানিনগরের স্থানীয় এলাকার কত মানুষ এই দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনার শিকার। তবে একদিকে যেমন বিজি মেডিকেল (B G Medical College) কলেজের বাইরে পরিজনদের ছবি, পরিচয়পত্র হাতে ভিড় জমিয়েছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ, তেমনই হাসপাতালের মর্গে (morgue) পূর্ণাঙ্গ থেকে দেহের অংশ জমা হয়েছে প্রায় ২০০ মানুষের। ঝলসে যাওয়া দেহ সনাক্তকরণে (identify) নতুন যুদ্ধ বিজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অন্যদিকে নিখোঁজের সংখ্যাও এখনও অজানা।

শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আমেদাবাদের সিভিল হাসপাতাল থেকে ৬ টি দেহ সনাক্তকরণের পরে পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। দুপুর পর্যন্ত সেখানে ২৬৫ দেহ ও দেহাংশ এসে পৌঁছেছিল যার অধিকাংশই সনাক্ত (identify) করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় অন্তত ২১৫ মৃত ব্যক্তির পরিজনেরা হাসপাতালে দেহের দাবি করে জড়ো হয়েছিলেন। শুরু হয়েছে তাঁদের থেকে ডিএনএ (DNA) সংগ্রহের কাজ।

বিজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি অন্তত ৭২ ঘন্টা সময় লাগবে এই ডিএনএগুলি (DNA) মেলাতে। তারপর সম্ভব হবে দেহ তুলে দেওয়া। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার পর থেকে যেভাবে দেহ উদ্ধার হয়েছে তাতে পরিজনদের খুঁজে বার করা সম্ভব নয় আত্মীয়দের পক্ষেও। তার মধ্যে যেমন বিমান যাত্রী রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে চার পড়ুয়া এবং একজন চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

যেভাবে বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার পর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল দেহ তার খানিকটা বর্ণনা দিয়েছিলেন হাসপাতালেরই পড়ুয়া চিকিৎসকরা। তাঁরা জানান মাত্র কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যে তাঁরা নিজেরাই অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জনের দেহ ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে বার করেছিলেন। যারা সেই সময় হাসপাতালে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। তবে সবার আগে তাঁরা ক্যান্টিনের সিলিন্ডারগুলিকে সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করেন। যে কারণে বিমানের বিস্ফোরণের পরে ছড়িয়ে পড়া আগুনে খানিকটা হলেও কমানো গিয়েছে ক্ষয়ক্ষতি।

শুক্রবার সকালেও বিজি মেডিকেল কলেজ (B G Medical College) হাসপাতাল চত্বরে দেখা যায় বহু আহত চিকিৎসকদের। বিস্ফোরণের সময় তাঁরা ঘরে আটকে পড়ার পর প্রাণ বাঁচাতে কেউ দোতলা, কেউ তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। এক চিকিৎসক জানান, তাঁর দু বছরের কন্যা চারতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁকে বাঁচাতে মূল ভূমিকা নিয়েছিলেন। একদিকে আহতদের চিকিৎসা, অন্যদিকে নিহতদের সনাক্তকরণের ঘিরে কবে ছন্দে ফিরবে বিজি মেডিকেল কলেজ, তা এখনও কল্পনা করতে পারছেন না চিকিৎসকরা।

spot_img

Related articles

ধর্মীয় বই কিনতে গিয়ে ২ কোটি টাকার প্রতারণার ফাঁদে কলকাতা ইসকন! গ্রেফতার ১ 

ধর্মীয় বই কেনার অর্ডার দিতে গিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার হল কলকাতা ইসকন। অভিযোগ, অর্ডার অনুযায়ী...

বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের সৌজন্যে হারানো পুলিশের চাকরি ফিরে পাচ্ছেন বাবা

কয়েকদিন আগেই আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ(ICC World Cup)  জিতেছে ভারতীয়  মহিলা দল। মেয়েদের সাফল্যে গর্বিত মা-বাবারা। তবে বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের...

গ্যাস-সমস্যায় নিঃশ্বাসের পরীক্ষা: যুগান্তকারী আবিষ্কারে বিশ্বে স্বীকৃতি বাঁকুড়ার চিকিৎসকের

একটি সাধারণ সমস্যা, যাতে জর্জরিত বর্তমান যুবসমাজ থেকে শিশুরা পর্যন্ত। গ্যাস বা গ্যাসট্রাইটিসের মতো সমস্যা নির্ধারণ করার জন্য...

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে বাড়তে পারে আসন সংখ্যা, জানালো এসএসসি 

রাজ্যের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী,...