একাধিক অভিযোগ। যার জেরে দীর্ঘদিন ধরে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) পরিষেবা নিয়ে যাত্রীদের হাজারো অভিযোগ। তা সত্ত্বেও তা এড়িয়ে গিয়ে বিমান ওড়ানোর চরম খেসারত দিতে হয়েছে প্রায় ৩০০ মানুষকে। অবশেষে নড়ে চড়ে বসেছে ডিজিসিএ (DGCA)। নিয়ম ভাঙার অপরাধে একসঙ্গে তিন আধিকারিককে বসিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হল। এমনকি সংস্থার বিভাগীয় তদন্ত চালিয়ে এই তিনজনকে শাস্তির মুখে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা ১০ দিনের মধ্যে ডিজিসিএ-কে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার পরে এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA)। আগে এয়ার ইন্ডিয়াকে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল ডিজিসিএ। সেই সব নির্দেশ যে উপেক্ষা করেছিল এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ, এতদিনে তা লক্ষ্য করা শুরু করেছে দেশের অসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফলে এবার যে এয়ার ইন্ডিয়ার আধিকারিক বা কর্তাদের উপর কোপ পড়তে চলেছে, তা বোঝাই যাচ্ছিল। প্রথম দফায় অভিযুক্ত তিন আধিকারিক হলেন – চূড়া সিং (ডিভিশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট), পিঙ্কি মিত্তল (চিফ ম্যানেজার- ডিওপিএস, ক্রু শিডিউলিং), পায়েল আরোরা (ক্রু শিডিউলিং- প্ল্যানিং)।

কার্যত ডিজিসিএ তাদের এই নির্দেশিকায় স্পষ্ট এতদিন ধরে এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা কাজের রস্টার (roaster) নিয়ে যে অভিযোগ করে আসছিলেন, তা যে কোনও ধরনের দুর্ঘটনার সূত্রপাত হতে পারে। যেভাবে কর্মীদের কাজ দেওয়া হয়েছে তা অবৈধ ও অসঙ্গতিপূর্ণ। সেই সঙ্গে অত্যাবশ্যকীয় প্রোটোকল (protocol), ছাড়পত্রের (licensing) নিয়ম ভাঙার অভিযোগ রয়েছে এই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। কর্মীদের কার্যতালিকা (roaster) তৈরির প্রোটোকল (protocol) ভাঙার অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কর্মীদের কাজের তালিকা অত্যন্ত কঠোরভাবে তৈরি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত তিন আধিকারিককে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) তদন্ত ও তার নিয়ম মেনে শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ১০ দিনের মধ্যে সেই শাস্তির রিপোর্ট দিতে হবে ডিজিসিএ-কে। শাস্তি পরবর্তীতে এই আধিকারিকদের নন-অপারেশনাল কাজে নিযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পরবর্তীকালে কর্মীদের রস্টার তৈরি ও বিমানের সময় নির্ধারণ নিয়ে নতুন করে বেনিয়ম নিয়েও কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–