রাজনৈতিক বিরোধ আলাদা করে দিয়েছিল দুই ভাইকে। শেষ পর্যন্ত আঞ্চলিক ভাষার সমর্থনে লড়াই নিয়ে এক নীতি দুই ভাইয়ের চিন্তার মতভেদকে দূরে সরিয়ে দিল। আর সেই লড়াইতে জয় উদযাপন কুড়ি বছর পর এক মঞ্চে এনে দাঁড় করালো রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray) এবং উদ্ধব ঠাকরেকে (Uddhav Thackeray)।

যা করতে পারেননি বাল ঠাকরে (Bal Thackeray), তাই-ই করে দেখালেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাড়নবিশ (Devendra Fadnavis), রসিকতা করে এমনটাই বললেন রাজ ঠাকরে। মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা নেতা রাজ ঠাকরে এবং শিবসেনা উদ্ধব গোষ্ঠীর নেতা উদ্ধব ঠাকরে শনিবারই ‘আওয়াজ মারাঠিচা’ নামে একটি অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে উঠে আসেন।

সম্প্রতি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বেধে দেওয়া নিয়ম অনুসারে সব রাজ্যে হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করার চেষ্টায় নেমেছিল মহারাষ্ট্রের দেবেন্দ্র ফাড়নবিশ (Devendra Fadnavis) প্রশাসন। তারই বিরুদ্ধে আলাদাভাবে লড়াই শুরু করেছিল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (MNS) এবং শিবসেনা উদ্ধব গোষ্ঠী (Shivsena Uddhav camp)। দুই দলের প্রবল আন্দোলনের ফলে হিন্দিকে প্রাথমিক স্কুলে বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় মহারাষ্ট্রের বিজেপি প্রশাসন।

আরও পড়ুন: পুলিশের হাতে ‘বেআইনি আটক’! বিজেপির ওড়িশার বিরুদ্ধে আদালতে পরিযায়ী শ্রমিক পরিবার

এই জয় শিবসেনার দুই গোষ্ঠীর। তাই এই জয়ের পরই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল রাজ ঠাকরে ও উদ্ধব ঠাকরের এক মঞ্চে উঠে আসার। শেষবার ২০০৫ সালে মহারাষ্ট্রের একটি উপনির্বাচনে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল রাজ ও উদ্ধবকে। তখনও বাল থাকতে শিবসেনা একটি দল ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে লড়াই চালালেও জয় উদযাপনে একসঙ্গে রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray) ও উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)।

তবে শনিবারের মঞ্চ থেকে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত দিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি স্পষ্ট দাবি করেন, আজ আমরা এক মঞ্চে এসেছি একসঙ্গে চলার জন্যই। সেই সঙ্গে এদিনের অনুষ্ঠানে অতিথিদের উপস্থিতিও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। সেখানে দেখা যায় এনসিপি (NCP) সাংসদ সুপ্রিয়া সুলেকে (Supriya Sule)। বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলি মহারাষ্ট্রে একজোট রয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পরেও। সেই শক্তির সঙ্গে রাজ ঠাকরে শক্তি ও নীতি মিলিত হলে তা রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে বিজেপি জোটের।

–

–

–

–

–
–
–
–