মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যে কর্মনাশা বনধ হয় না। কিন্তু গায়ের জোর অশান্তি পাকাতে চায় বিজেপি। খেজুরিতে (Khejuri) জোর করে জনজীবন ব্যাহত করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন বিজেপির (BJP) নেতা-কর্মীরা।

শুক্রবার রাতে এলাকার যুবর সুজিত দাস ও প্রৌঢ় চন্দ্র পাইকের মৃত্যু হয়। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় খেজুরি থানার পুলিশ (Police)। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রাও জানান, অনুষ্ঠানস্থলের কাছে একটি হ্যালোজেন লাইট খুলে পড়ায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস জানান, “অভিযোগের তদন্ত চলছে। কার গাফিলতিতে মৃত্যু তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” কিন্তু এটাতেও রাজনীতির রং লাগাতে চায় বিজেপি (BJP)। এটিকে পরিকল্পিত খুন বলে অভিযোগ করে সোমাবার খেজুরি বনধের ডাক দেয় তারা।

খেজুরি বিদ্যাপীঠের কাছে হেঁড়িয়া-খেজুরি রাজ্য সড়কে ফলের পেটি রেখে অবরোধ করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। রাজ্য সড়ক থেকে তাঁদের সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে প্রথমে বচসা বাঁধে। পরে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। বাঁশগোড়াতে গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত ৯ জন বন্ধ সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতি জালাউদ্দিন খান বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী বরাবর লাশের রাজনীতি করতে ভালোবাসেন। শকুনের মতো চেয়ে থাকেন কখন লাশ পড়বে আর তিনি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু করবেন। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। রাতে অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। নিছক একটা দুর্ঘটনাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে রাজনীতি করতে শুরু করেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু অনুষ্ঠান মঞ্চের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে সত্য ঘটনা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এরপরেও বিজেপির লজ্জা করে না?”
আরও খবর: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন, বিচার শুরু হবে ২২ জুলাই

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–