এক একটি জনমুখী প্রকল্প নিয়ে আসেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), আর ‘থরহরিকম্প’ হয় বিরোধীদের। ফলস্বরূপ জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের বিরোধিতা করে বসে রাম-বাম। মঙ্গলবারই ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ প্রকল্প ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সারাদেশের মধ্যে এই প্রকল্প প্রথম তিনিই সূচনা করছেন। আর তাই দেখে কুৎসা করতে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে তাদের তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নয়া প্রকল্প দেখে প্যানিক রিঅ্যাকশন হচ্ছে বিরোধীদের।

২০২৬-এর নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মাস্টারস্ট্রোক এই নয়া প্রকল্প। রাজ্যের ৮০ হাজার বুথে ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা হতেই কুৎসা শুরু করেছে বিরোধীরা। ২ অগাস্ট থেকে শুরু হওয়া ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের অধীন স্কুলবাড়ি, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আইসিডিএস সেন্টারের মতো বিষয়গুলিতেও টাকা দেবে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে বাম-বিজেপি নেতারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

এর পাল্টা কটাক্ষ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, “এসবই বিরোধীদের প্যানিক রি-অ্যাকশন। ওরা বুঝতে পারছে, যেটুকু ভোট পেত, এবার মুখ্যমন্ত্রীর নয়া প্রকল্পের ধাক্কায় সেটাও চলে যাবে। দিশেহারা বিরোধীরা তাই হতাশা ও আতঙ্ক থেকেই বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছেন।”

কুণালের কথায় “তৃণমূল সারা বছর পাড়াতে থাকে, মানুষের পাশে থাকে, কাজ করে যায়। ওনারা আগের মতো প্রশ্ন তুলেই যাবেন, ভোট হলে তৃণমূল ফের জিতেই যাবে, আর ওনারা হেরেই যাবেন।”

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত প্রকল্প নিয়ে ইতিমধ্যেই ঘরোয়া আলোচনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিরোধীরা। কারণ এই প্রকল্প যে তৃণমূলকে আগামী বিধানসভায় আরও বাড়তি অক্সিজেন যোগাবে সেটা বলাই বাহুল্য। তবে এই বিষয় নিয়ে শাসকদলকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “পাড়ায় পাড়ায় তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে এত সমস্যা যে সমাধান করতে গিয়ে মারপিট বাড়বে। নেতারা গেলে কাটমানি, চাকরি চুরির টাকা ফেরত চেয়ে জনতা ঘিরে ধরে মারবে।” বিষয়টি নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, “দিলীপবাবুকে তো নিজের দলের লোকেরাই তাড়া করে। সভা করতে গিয়ে বিজেপির তাড়া খেয়ে পালিয়ে বেঁচেছিলেন। আর উনি আগে ঠিক করুন ওনার পাড়া কোনটা? আগে ছিলেন মেদিনীপুরে, ভোটের আগে দল পাঠিয়ে দিল দুর্গাপুরে, এখন থাকেন নিউটাউনে। কোন পাড়ায় সমাধানে থাকবেন, সেটা আগে ঠিক করুন।”

আরও পড়ুন – শিক্ষক নিয়োগে স্বাস্থ্য দফতরের ছায়া! কোটি টাকা নিয়েও মেলেনি চাকরি, রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

_

_

_

_

_
_
_
_
_