ঝাড়গ্রামে পাঁচ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দুই ব্যক্তির ফাঁসির সাজা রদ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পরিবর্তে দুই দোষীকে ৬০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি দেবাংশু বসাক (Justice Debangshu Basak) এবং বিচারপতি মহাম্মদ সব্বার রশিদের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে দোষীরা কোনও ভাবে মুক্তি পাবে না।

মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে তৃণমূলকর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে এক পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে তার ওপর ওই দুই দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি যৌন নির্যাতন চালায়। শেষে শ্বাসরোধ করে খুন করে পাঁচ বছরের ওই শিশু কন্যার নিথর দেহ ঝোপের পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। নিম্ন আদালত সমস্ত তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে দু’জনকে ফাঁসির সাজা দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তারা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়।এই মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, মেডিক্যাল রিপোর্ট-সহ একাধিক তথ্য প্রমাণে যৌন নির্যাতনের কথা স্পষ্ট। তাই, এই দু’জনের অপরাধ অত্যন্ত গুরুতর। তবে একজন মানসিকভাবে অসুস্থ। তার চিকিৎসা চলছে এবং দু’জনেই অত্যন্ত গরিব ও নিরক্ষর। একইসঙ্গে, দু’জনের কারও কোনও পূর্ব অপরাধের রেকর্ড নেই এবং তারা সংশোধনাগারেও কোনও অশান্তি করেনি। তাই, কলকাতা হাই কোর্ট তাদের সংশোধনের সুযোগ দিতে চায়। সেই কারণে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। পরিবর্তে দু’জনকে ৬০ বছরের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–