Friday, November 14, 2025

বিহারে ভোটার তালিকায় কুকুর! এসআইআর ইস্যুতে কমিশনকে ধুয়ে দিল তৃণমূল

Date:

Share post:

ভোটার তালিকাকে নিখুঁত করতেই নাকি এসআইআর! কিন্তু বাস্তবে কী দেখা গেল, তালিকায় নাম উঠেছে কুকুরেরও! বিহারে নির্বাচন কমিশনের নতুন কীর্তির পর্দাফাঁস করল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে এই তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনকে ধুয়ে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন তাঁরা ফের একবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বাংলায় যদি একজনও বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে আন্দোলন কাকে বলে দেখিয়ে দেবে বাংলা।

সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ বলেন, ভোটার তালিকায় কারচুপি করার জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে সামনে রেখে বিজেপি যে বিপজ্জনক খেলা খেলছে তার মুখোশ খুলে গিয়েছে। যে এসআইআর নিয়ে এত কথা বলছে কমিশন, তার নিটফল, বিহারে ভোটার তালিকায় নাম উঠল কুকুরের! এসআইআরের নামে এটা কী চলছে? যেখানে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত বলছে, আধার কার্ড, সচিত্র পরিচয়পত্র, প্যান কার্ডের মতো জরুরি নথিগুলির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এর আগে মহারাষ্ট্রে ভোটার তালিকায় অনিয়ম হয়েছে, দিল্লিতে হয়েছে। বিজেপির এই খেলা ধরার দায়িত্ব যাঁদের ছিল, তাঁরা ফেল করেছিলেন। কিন্তু বাংলায় এসব চলে না। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। তিনি বিজেপির এই খেলা ধরে ফেলেছেন। তাই আমরা স্পষ্ট বলছি, নিখুঁত ভোটার তালিকা আমরাও চাই। কিন্তু একজন বৈধ ভোটারকেও বাদ দেওয়া হলে আমরা মানব না। বাংলা, বাঙালিকে টার্গেট করার পাশাপাশি এই নতুন যে চক্রান্ত যোগ করেছে বিজেপি তার বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গর্জে উঠেছে সারা বাংলা। আজ তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল হচ্ছে বীরভূমে। দিল্লিতেও জোরালো প্রতিবাদ করছেন আমাদের সাংসদরা। তাই আমরা পরিষ্কার বলছি, এই এসআইআরের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নাম, ছবি, বাবার নাম, ঠিকানা-সহ কুকুরের ভোটার তালিকার ছবি তুলে ধরে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপিকে। বলেন, ভাবুন একবার, কুকুরের নামও রয়েছে, কিন্তু বাদ যাচ্ছে মানুষের নাম। এসআইআরের নামে এটা কী চলছে? নির্বাচন কমিশন তো এসব দেখছে। কী করছে তারা? বাঙালি হলে বাদ দাও, বাংলাভাষী হলে বাদ দাও, ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাও, অধিকার কেড়ে নাও, সংবিধানকে কাঁচকলা দেখানো, এসব চালাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু বিজেপি জেনে রাখো রাজ্যটার নাম বাংলা, মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যখনই এসব হবে তখনই কিন্তু উনি প্রতিবাদ করেন। আজও আমাদের নেত্রী প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। অনেকে আবার বলছেন, এখানে নাকি এসআইআর হলে ১ লক্ষ ২৫ হাজার নাম কাটা যাবে। তাহলে আর এসআইআরের দরকার কী, নামগুলো ধরে ধরে কেটে দিলেই হল। এরই নাম কি গণতন্ত্র! জেনে রাখুন, বাংলা এসব মানবে না।

আরও পড়ুন – বার্ষিক আয় মাত্র ৩ টাকা! বিজেপি রাজ্যে ‘দরিদ্রতম কৃষক’, ছাপার ভুল বলে সাফাই প্রশাসন

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

spot_img

Related articles

নেতৃত্ব দিতে অপারগ! রাঘোপুর ধরে রাখলেও অনুকরণ রাজনীতি নিয়ে ডুবলেন তেজস্বী

বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় এক তৃতীয়াংশ আসন হারালো লালু প্রসাদের আরজেডি। নির্বাচনের ফলাফল আরজেডির মনোবল ভেঙে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।...

কংগ্রেসের হাত ধরলেই ভরাডুবি! বিজেপিকে রুখতে পারে একমাত্র তৃণমূল: লিটমাস টেস্ট বিহারে

কংগ্রেসের (Congress) হাত ধরলেই কি ভরাডুবি? ফের আরেকবার প্রশ্ন উঠল বিহার নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে। আর তার সঙ্গে...

পরকীয়া বাধা পেয়ে স্বামীকে খুন! অভিযোগে ইসলামপুরে আটক স্ত্রী

পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্বামীকে (Husband) খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ মহিলার বিরুদ্ধে। শুক্রবার ঘটনায় ইসলামপুরে (Islampur) ব্যাপক...

এবার শিলিগুড়ি, ভোটার তালিকা থেকে মেয়ের নাম বাদ পড়ায় আত্মঘাতী বৃদ্ধ!

এসআইআর আতঙ্কে ফের মৃত্যু রাজ্যে। ন্যায্য ভোটারদের নাম বারবার বাদ পড়েছে ভোটার তালিকা থেকে। বহু মানুষ নিজেদের নামে...