অপেক্ষার তর সইছে না, রোদ বৃষ্টি ভেজা রবিবাসরীয় সকাল থেকেই বাঙালির আলোচনায় ডুরান্ডের ডার্বি (Durand Cup Derby)। কে এগিয়ে কে পিছিয়ে এই তর্কে যেতে নারাজ বাগান (MBSG) সমর্থকরা। প্রতিপক্ষকে তাঁদের সাফ বার্তা – ‘যতবার ডার্বি ততবার হারবি’। দলের পাঁচ বিদেশি জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিংস, দিমি পেত্রাতোস, টম অলড্রেড ও আলবের্তো রদ্রিগেজ়ের কাছে এই আবেগ নতুন নয়। মোলিনা জানেন টুর্নামেন্টের ফাইনালের আগে বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের কাছে এটা আরও একটা ফাইনাল বটে। খোশমেজাজে সবুজ মেরুন প্লেয়াররা।

তাহলে কি শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল (EBFC)ব্যাকফুটে? ছুটির বাজারে ইলিশ কিনতে গিয়ে সমর্থকরা এই দাবিকে নস্যাৎ করে দিচ্ছেন এক নিমেষে। রশিদের না থাকাটা ফ্যাক্টর বটে, কিন্তু তার মানে পিছিয়ে পড়া নয়। অস্কার ব্রুজোর আত্মবিশ্বাসী হুংকার লড়াইয়ের মেজাজ তৈরি করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের মনে।

এবার একটু তুলনা টেনে দেখা যাক। গ্রুপ পর্বে দুই দলই বারোটা করে গোল দিয়েছে এবং তিনটে করে ম্যাচ জিতেছে। বাগানের বিদেশি খেলোয়াড়রা এই ম্যাচের চাপ সামলাতে জানেন। অন্য দিকে ইস্টবেঙ্গলের ছয় বিদেশির মধ্যে ডার্বিতে পাঁচ জনকে পাওয়া যাবে। দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস ও সাউল ক্রেসপোর ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও মিগুয়েল ফিগুয়েরা, কেভিন সিবিলে ও হামিদ আহদাদ প্রথমবার এই ম্যাচ খেলবেন। তাই সেদিক থেকে অ্যাডভান্টেজে মোহনবাগান। বিদেশি প্লেয়ারদের অভিজ্ঞতা ছাড়াও লিস্টন কোলাসোর দুর্দান্ত ফর্ম, সাহাল আব্দুল সামাদ- অনিরুদ্ধ থাপা- আপুইয়াদের ধারাবাহিকভাবে পারফরম্যান্স মোলিনার শক্তি। অন্যদিকে লাল হলুদ শিবিরের কোচ ব্রুজো এখনই হাতের তাস বের করতে চাইছেন না। রশিদের অনুপস্থিতি দলকে চাপে রাখলেও বিপক্ষকে তা বুঝতে দিতে নারাজ তিনি। তবে হামিদেরা ডার্বির চাপ সামলাতে পারবেন কি না তা নিয়েও কোচ নিশ্চিন্ত থাকতে পারছেন না। সেদিক থেকে বিচার করলে এক কথায় মোহনবাগান অনেকটাই এগিয়ে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই ম্যাচ যতটা মাঠে, তত বেশি মাথায়। নার্ভের চাপ যে দল সামলাবে মেগা ম্যাচে জেতার সম্ভাবনা তারই বেশি। সন্ধ্যা ৭টা থেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শুরু হবে মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গলের (MBSG vs EBFC) পায়ে পায়ে লড়াই ।

–

–

–

–

–

–

–

–