অনির্বাণদের গানকে ‘ক‍্যাওড়ামি’ তকমা মেখলার! ‘বাঙালির বুদ্ধি হাঁটুতে’, খোঁচা দিলেন গায়িকা

Date:

Share post:

সমাজ থেকে সমাজমাধ্যম সর্বত্রই সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র বিন্দুতে ‘হুলিগানিজম’(Hooligaanism)। অনুষ্ঠানে অনির্বাণ- দেবরাজদের সৃষ্টি ও উপস্থাপনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, কারোর ক্ষেত্রে আবার গানের পরিবেশনা হুল ফুটিয়েছে। এই দ্বিতীয় দলের খাতায় নাম লিখিয়েছেন গায়িকা মেখলা দাশগুপ্ত (Mekhla Dasgupta)। রিয়ালিটি শোয়ের প্রতিযোগিতা থেকে উঠে আসা সংগীতশিল্পী অনির্বাণ ভট্টাচার্যদের (Anirban Bhattacharya) গানের দল হুলিগানিজমের অনুষ্ঠানের সমালোচনা করতে গিয়ে রীতিমত অপমান করে বসলেন বাঙালি বুদ্ধিমত্তাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গায়িকা লেখেন, ‘একজন শিল্পী কেমন গান বানাবেন সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব‍্যাপার। কিন্তু বাঙালির (public) বুদ্ধি মগজ থেকে নামতে নামতে হাঁটুতে চলে গেছে, নাহলে একটা পাক্কা ক‍্যাওড়ামির গানকে প্রতিবাদের গান বানিয়ে দিলো?! SSC, RG Kar,Law College, পুলিশের মা-বউকে খিস্তি……etc যেখানে সন্তর্পণে এড়িয়ে যাওয়া; নিদেনপক্ষে ঘোষেদের দলে সন্দীপ ঘোষও যেখানে নেই…সেটা নাকি প্রতিবাদের গান?!?! এইজন‍্যই বোধহয় বলে, We get the ruler we deserve…’।

অগাস্ট মাসের শেষ দিনে মহানগরীর বুকে নিজেদের তৈরি করা গানের অনুষ্ঠান করে ‘হুলিগানিজম'(Hooligaanism)। তারপর থেকে বিতর্ক থামছে না। ব্যান্ডের শিল্পীরা অবশ্য এসব নিয়ে একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না, তবে সাংস্কৃতিক জগত থেকে রাজনৈতিক মহল রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে। গানে প্রধানমন্ত্রী থেকে পেনশন, SIR থেকে সিপিএমের শূন্যতা, তিন ঘোষ থেকে নানা রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়বস্তু উঠে এসেছে। এরপরই রে রে করে তেড়ে এসেছে রাম-বাম সমর্থক থেকে নিজেদের নির্দল বলে দাবি করা বেশ কয়েকজন শিল্পী। কেউ ব্যাপারটাকে বৈপ্লবিক আখ্যা দিয়েছেন, তো কেউ বলছেন আঁতলামি। কেউ আবার সন্তর্পণে এড়িয়েও গেছেন। তবে গায়িকা মেখলা (Mekhla Dasgupta) সরাসরি এই গানের বিরোধিতা করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘এটা কোন বিপ্লবের গানই নয়। প্রতিবাদের গান বলাতেও আপত্তি আমার। একটা প্রতিবাদের গানে তো আরজি কর প্রসঙ্গ, এসএসসি দুর্নীতি আসা উচিত ছিল। আমি আমার জীবনবোধ থেকে এমন গান কখনওই গাইব না।’’

একজন শিল্পী তাঁর শিল্প সৃষ্টির জন্য কোন বিষয়কে বেছে নেবেন বা কোন মাধ্যমে তা প্রকাশ করবেন সেটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু যখন প্রাসঙ্গিকতায় উঠে আসে রাজনৈতিক মহলের নানা কর্মকাণ্ড, তখন সেটা নিয়ে যে আলোচনা সমালোচনা চলবে বৈকি। তাইতো হুলিগানিজম শিল্পী দেবরাজ ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘আমরা মজা করেই করেছি সবটা। যাঁরা মজাটা নিতে পেরেছেন, আনন্দ করেছেন। যাঁরা পারেননি বিষোদ্গার করেছেন।’’ বিতর্কে বিরতির কোনও সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না। তবে এই একটা অনুষ্ঠান যে নিঃসন্দেহে ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে একটা নতুন বাংলা ব্যান্ডের জনপ্রিয়তাকে যে শিখরে পৌঁছে দিল, তা স্বীকার করতেই হয়।

spot_img

Related articles

লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল: বুম্বা-ঋতুর উপস্থিতিতে পোস্টার লঞ্চ-লুক প্রকাশ

পুজোর আবহে ইতিমধ্যেই মেতে উঠেছে কলকাতা। প্যান্ডেলের বাঁশ বাঁধা শুরু। কেনাকাটার ভিড়, আলো ঠিকরে পড়া শহরে ব্যস্ততা যখন...

হাইকোর্টের নির্দেশে কমিটি গড়তে পরিচালকদের পরে ‘খাঁটি টলিউডি’ তালিকা জমা ফেডারেশনের

ফেডারেশন বনাম ১৩ পরিচালক। মামলায় কমিটি গড়ে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা...

নদীতে মাছ ধরলেন দেব, দিলেন পুজো! উত্তরবঙ্গে ‘রঘু ডাকাত’-এর জমজমাট প্রচার

নতুন ছবি ‘রঘু ডাকাত’-এর প্রচারে উত্তরবঙ্গে এসে রীতিমতো চমক দিলেন অভিনেতা তথা সাংসদ দেব। সোমবার সকালে তিনি প্রথমেই...

জুঁই ফুল লাগিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা ভারতীয় অভিনেত্রীর!

দক্ষিণ ভারতে মহিলাদের সাজ মানেই জুঁই বা বেল ফুল। এই সাজ তাঁদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কিন্তু পৃথিবীর সব...