অশান্তির আগুনে জ্বলছে নেপাল (Nepal), কলকাতায় বসে মন ভালো নেই শ্যাম থাপার ( Shyam Thapa)। গত কয়েকদিন ধরেই টিভির পর্দায় দেখেছেন নিজের দেশে চলছে ধংস্বলীলা। আত্মীয় পরিজনদের অনেকেই এখন সেখানে আছেন। তাই তাঁদের নিয়ে চিন্তিত শ্যাম।

হিমালয়ের কোলে ছোট্ট দেশ নেপাল জুড়ে শুধুই ধ্বংসলীলার ছবি। নিজের জন্মভূমির এই পরিস্থিতি দেখে অত্যন্ত ব্যাথীত শ্যাম থাপা। বিশ্ব বাংলা সংবাদকে ফোনে প্রাক্তন ফুটবলার জানালেন, “বেশ কয়েকদিন ধরে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। চিন্তা হচ্ছিল কিন্তু অবশেষে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি। আমাদের আত্মীয়রা যেখানে থাকেন সেখানে খুব বেশি অশান্তি হচ্ছে না, তবে তাঁরাও আতঙ্কে আছেন।”

যেভাবে নেপাল জুড়ে যেভাবে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে দেশের ছাত্র যুবরা তা নিয়েও অত্যন্ত মর্মাহত শ্যাম থাপা। তিনি জানিয়েছেন, “এটা কি ধরনের আন্দোলন যেখানে সবকিছু কিছু ধ্বংস করা হচ্ছে। সংসদ ভবনে কোন প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি নয়। সেখানে কেন আগুন লাগানো হল? কয়েকদিন পর এই সংসদ ভবনেই তো বসবেন ছাত্র-যুবরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে কেন? এমনকি পশুপতিনাথ বাবার মন্দির বাদ যাচ্ছে না, এটা কখনও মেনে নেওয়া যায় না।”

একইসঙ্গে শ্যাম থাপা আরও বলেছেন, “বর্তমানে নেপালের ছেলে মেয়েরা অনেক বেশি পড়াশোনা করার সুযোগ পায়। কিন্তু তারা পড়াশোনা করে দেশের সম্পত্তি নষ্ট করছে। এটা আমাকে খুবই দুঃখ দিচ্ছে। আগে নেপালের ছেলে মেয়েরা খুব বেশি লেখাপড়ার সুযোগ পেতেন না। কিন্তু এখন সেটা পাচ্ছেন, কিন্তু পড়াশোনা শিখে তারা কি কান্ড করলেন এটা ভেবে আমি অবাক হচ্ছি। আমার মনে হয় এটা বাইরের কারোর মদত আছে।”

শ্যাম থাপার নিকট আত্মীয় নেপালের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। তাঁকে নিয়েও চিন্তায় আছেন প্রাক্তন এই ফুটবলার। সমাজ মাধ্যম বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে নেপালে অশান্তি শুরু হয়েছিল।

আরও পড়ুন:এশিয়া কাপ: মরুদেশের বিরুদ্ধে নামছে টিম ইন্ডিয়া, জানুন সম্ভাব্য প্রথম একাদশ

সেই অশান্তির চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পোড়েল পদত্যাগ করেছেন। একাধিক মন্ত্রী-সাংসদও পদত্যাগ করেছেন। বিক্ষোভকারীরা দেশের সংসদ ভবনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ভবন সহ দেশের একাধিক সরকারি জায়গা ভেঙে তছনছ করে দেওয়া দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

–

–

–
–
–