মেয়ো রোডে তৃণমূলের ধর্না মঞ্চ খুলে দিয়েছিল সেনাবাহিনী (Army)। তখনই শাসকদল অভিযোগ করে, এর পিছনে রয়েছে BJP। কয়েকদিনের মধ্যেই একেবারে হাতে গরম প্রমাণ মিলল সেই মেয়ো রোডেই। বৃহস্পতিবার, প্রাক্তন সেনা কর্মীদের প্রতিবাদ মঞ্চ আলো করলেন বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)-সহ অন্যান্যরা। অর্থাৎ সেদিন পদ্মশিবিরই কলকাঠি নেড়ে তৃণমূলের মঞ্চ খুলিয়েছিল।

আগেই তৃণমূলের (TMC) তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, লিখিত অনুমতি থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত তৃণমূলের মঞ্চ খোলানোর চক্রান্ত করেছে বিজেপি। আর তাতে ব্যবহার করেছে সেনাকে। এই কারণে মেয়ো থেকে ধর্না রানি রাসমণিতে নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদেরকে দোষারোপ করা হয়েছে- এই অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসেন প্রাক্তন সেনা আধিকারিক-কর্মীরা। আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে এসে বৃহস্পতিবার গান্ধী মূর্তির সামনে মোয়া রোডে ধর্নায় বসেন তাঁরা।

এই ধর্না প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা সেনাকে সম্মান করি। কিন্তু একাংশ বিজেপির হয়ে কাজ করছে। আর বিজেপির একটা শাখাই তাদের দিয়ে তৃণমূলের মঞ্চ খুলিয়েছে।

এদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গান্ধীর মূর্তির পাদদেশে ধর্না কর্মসূচি হয়। দাবি, এই ধর্নায় রাজনীতির রং নেই। কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ সত্যি করে ধর্না মঞ্চে হাজির হন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে শুভেন্দুর সাফাই, “কোনও দলের নেতা হয়ে নয়, আমি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে এখানে এসেছি।“ কিন্তু বিরোধী দলনেতার প্রাক্তন সেনাবাহিনীর ধর্নায় কীকাজ!

অর্থাৎ মঞ্চ খোলা নিয়ে তৃণমূল যে অভিযোগ সেদিন বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে তুলছিল, তা যে খুব একটা ভিত্তিহীন নয়, এদিনের ঘটনাতেই তা স্পষ্ট। এই ভাবেই আর জি কর আন্দোলনে রাজনীতির রং প্রকাশ হয়ে পড়ে। এবার প্রাক্তন সেনাদের আন্দোলনেও সেই গেরুয়া ছাপ স্পষ্ট হল।

–

–

–

–

–