শারীরিক প্রতিবন্ধকতা স্বপ্নের পথে বাধা নয়, এই মর্মেই বুধবার নজির গড়ল কলকাতা হাই কোর্ট।মালদহের বৈষ্ণবনগরের প্রশান্ত মণ্ডল জন্ম থেকেই পোলিও আক্রান্ত, দুই হাতের পূর্ণ ক্ষমতা নেই। সাড়ে তিন আঙুলের ভরসাতেই পড়াশোনা। সেই আঙুলে লিখেই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন, নিট পরীক্ষায় র্যাঙ্কও করেছেন— সর্বভারতীয় স্তরে ১,৬১,৪০৪ এবং পিডব্লিউবিডি বিভাগে ৩,৬২৭। কিন্তু এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছিল, ডাক্তারি পড়ার যোগ্য নন প্রশান্ত। ছুরি, কাঁচি ধরবেন কীভাবে— এই প্রশ্নেই আটকে গিয়েছিল পথ।

ছোট থেকে দেখা স্বপ্ন ভেঙে যেতে বসেছিল। অথচ হাল ছাড়েননি প্রশান্ত। আদালতের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশে মুম্বই এইমস-এ দ্বিতীয়বার শারীরিক মূল্যায়ন হয়।বুধবার সেই রিপোর্ট জমা পড়ে হাই কোর্টে। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়, সাড়ে তিন আঙুলে কোনওভাবেই ডাক্তারি পড়াশোনা থমকে যাবে না।

আদালতের রায়ে অবশেষে প্রশান্তর স্বপ্নের পথ খুলল। বিচারপতি বসু নির্দেশ দিয়েছেন, বিশেষ সংরক্ষণের সুযোগ দিয়েই তিনি ডাক্তারি পড়ার ভেরিফিকেশনে বসতে পারবেন। পর্যবেক্ষণে আদালত জানিয়েছে, এর আগেও দিল্লির হাসপাতাল একই রকম ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছিল।

আদালতের সিদ্ধান্তে স্বস্তি ও খুশি প্রশান্তর পরিবারে। শৈশবের স্বপ্ন যে সত্যিই হাতের নাগালে এসে পৌঁছেছে, তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না অনেকে। সাড়ে তিন আঙুলের ভরসায় ডাক্তার হওয়ার পথে হাঁটতে চলেছেন মালদহের এই তরুণ।

আরও পড়ুন – ভোটার তালিকা সংশোধনীতে আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়িদের ভরসা সিইও দফতরের

_

_

_

_

_
_