সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন দাবি করেছিল ভোটারদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনও রাজনৈতিক দলকেই নির্বাচনের দিনের বুথের ভিতরের ভিডিও দেওয়া যাবে না। অথচ ২০১৯ তৎকালীন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (TRS), বর্তমানের বিআরএস-কে (BRS) সেই সব ভিডিও দিয়েছিল ভারতের নির্বাচন কমিশনই (Election Commission)। শুধু রাজনৈতিক দল, বিআরএস নয়, একটি বেসরকারি সংস্থাকেও দেওয়া হয়েছিল বুথের ভিতরের ভোটদান চলাকালীন ভিডিও (video recording)। নির্বাচনী ভোটার তালিকায় একের পর এক গরমিল করার পর এবার দেশের ভোটারদের ভিডিও নিয়ে কতটা ‘দায়িত্বশীল মিথ্যাচার’ চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন, তা নিয়ে প্রশ্ন বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের।

২০১৯ সালে তেলেঙ্গানার (Telengana) তৎকালীন শাসকদল টিআরএস, বর্তমানের বিআরএস, পেনশন প্রকল্পের যাচাইয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনের থেকেই ভোটারদের ভোটাদানের ভিডিও পেয়েছিল। সম্প্রতি একটি আরটিআই-এর (RTI) উত্তরে দেখা গিয়েছেন শুধু তথ্য যাচাই করার বেসরকারি সংস্থা নয়, শাসকদল টিআরএস-ও পেয়েছিল সেইসব ভিডিও। সেই সময়ে জীবিত পেনশন প্রাপকের তথ্য যাচাই করতে যে সব তথ্য হাতে পেয়েছিল বেসরকারি সংস্থাটি, তার মধ্যে ছিল ভোটারদের ভোটদানের ভিডিও। সেই ভিডিও থেকেই না কি যাচাই করা হয়েছিল, জীবিত পেনশন প্রাপকের তৎকালীন ছবি।

নিজেদের স্বচ্ছ দাবি করা নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় নাম ঢোকানো থেকে নাম মুছে দেওয়া নিয়ে কারচুপি প্রকাশ্যে এনেছে দেশের বিরোধী দলগুলি। সেই রাস্তা প্রথম দেখিয়েছিল বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ফের একবার কমিশনের মিথ্যাচার সামনে আনলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)।

এবছর জুন মাসে বিরোধী দলগুলির ভোটদানের ভিডিও দাবি করার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন দাবি করেছিল, কোনও ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল, এনজিও বা সংস্থার হাতে দেওয়া হবে না ভোটারদের সম্মতি ছাড়া। তাতে ভোটারদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। এরপরেও সেই নির্বাচন কমিশনই দেশের প্রধান বিরোধী দলগুলিকে সেই ভিডিও ফুটেজ (video recording) না দিয়ে, দিয়েছিল টিআরএস-কে (TRS)। এমনকি বেসরকারি সংস্থাও তার নাগাল পেয়েছিল।

আরও পড়ুন: এবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব রাহুল! কর্নাটকের উদাহরণ তুলে গুরুতর অভিযোগ

সেখানেই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর প্রশ্ন, তাহলে নির্বাচন কমিশন ও জ্ঞানেশ কুমারের মিথ্যাচার আবারও ধরা পড়ল। বলেছিলেন গোপণীয়তার জন্য বুথ ভিডিও রেকর্ডিং, সিসিটিভি ফুটেজ কাউকে দেওয়া যাবে না। তা সত্ত্বেও গোটা তেলেঙ্গানার নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেস কীভাবে তুলে দেওয়া হল হায়দ্রাবাদের বেসরকারি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা পসিডেক্স টেকনোলজিসের হাতে।

So @ECISVEEP & Gyanesh Kumar caught lying again. Says booth video recordings, cctv footage cant be shared due to privacy. Yet entire Telegana state ECI database was shared with private tech firm Hyderabad-based Posidex Technologies! @abhishekaitc https://t.co/79kHRvXeAD
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) September 19, 2025
–

–

–
