মহালয়ার আগে পুজো প্যান্ডেল উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর: প্রার্থনা করলেন সকলের সুখ সমৃদ্ধির

Date:

Share post:

রাত পোহালেই মহালয়া। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই শনিবার শারদোৎসবের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।শনিবার হাতিবাগান সার্বজনীন, শ্রীভূমি-সহ শহরের একাধিক পুজোর দ্বারোদ্ঘাটন করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। প্রসঙ্গত, এই বছর প্রায় ৩ হাজারের বেশি পুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বহু আবেদন থাকলেও সময়াভাবে মুখ্যমন্ত্রী কয়েক হাজার পুজোর উদ্বোধন করতে পারেননি।

শনিবার প্রথমেই এদিন হাতিবাগান সার্বজনীনের পুজো উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই টালা প্রত্যয় এবং সুজিত বসুর পুজো শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্বোধন করেন তিনি। তবে দেবীপক্ষ এখনও শুরু হয়নি। ফলে এদিন কোনও প্রতিমার উন্মোচন করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ”মহালয়ার আগে মাতৃমূর্তির উদ্বোধন করি না। শুধুমাত্র প্যান্ডেল উদ্বোধন করতে এসেছি।” পুজো উদ্বোধনের সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজের অভিজ্ঞতার কথা লেখেন মুখ্যমন্ত্রী। পোস্টে তিনি লিখেছেন, দুর্গাপুজো বাংলা তথা বাঙালির সেরা উৎসব, আমাদের প্রাণের উৎসব, আমাদের গর্বের উৎসব। আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে এর যোগ। এই পুজো এমন একটা আবেগ যা সকলকে এক করে দেয়। UNESCO পর্যন্ত দুর্গাপুজোকে Intangible Cultural Heritage of Humanity হিসেবে বিরল সম্মান জানিয়েছে।

আজ আমি হাতিবাগান সর্বজনীন, টালা প্রত্যয় এবং শ্রীভূমি-র দুর্গাপূজা মণ্ডপ উদ্বোধন করলাম। সব জায়গায় উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার মানুষ, বহু গুণিজন, মন্ত্রীসভায় আমার অনেক সহকর্মী ও আধিকারিকরা।

প্রতিটি অসাধারণ প্যান্ডেল এবং প্রতিটা সূক্ষ্ম শিল্পকর্মের পেছনে রয়েছে আমাদের শিল্পী, কারিগর এবং সংগঠকদের কয়েক মাসের অক্লান্ত পরিশ্রম। বাংলার সমৃদ্ধ সৃজনশীল ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখা এবং তাদের ভক্তি ও শ্রমের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের মুখে আনন্দ ফুটিয়ে তোলার জন্য আমি তাঁদের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।

যদিও কালো মেঘ আমাদের আকাশে ছায়া ফেলেছে, আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, মা দুর্গার কৃপায় এই সংকট কেটে যাবে।প্রার্থনা করি, মায়ের আশীর্বাদে বাংলার প্রতিটি পরিবারে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি আসুক। দূর হোক ঘৃণা, জয়ী হোক ভালোবাসা, মানবতাবাদ। আমি মনে করি, একতা ও মানবিকতাই হল আমাদের প্রকৃত ভিত্তি। মানবতার কোনও জাত নেই, ধর্ম নেই, সম্প্রদায় নেই, মানুষ কেবল মানুষ। আর তাই বাংলার যেকোনো উৎসবে উদযাপন হয় একটাই ধর্মের। তার নাম মানব ধর্ম। এটাই বাংলার সংস্কৃতি, এটাই বাংলার ঐতিহ্য। জয় বাংলা! জয় মা দুর্গা!

আরও পড়ুন- গরুমারা ও চাপরামারিতে পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ মনিটরিং কমিটি গঠন রাজ্যের

_

 

_

 

_

 

 

_

spot_img

Related articles

শাহর বিরুদ্ধে মূর্তি ভাঙার অভিযোগকারী, তারই পুজোর উদ্বোধনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী!

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। দাবি করেছিলেন, অমিত শাহর প্ররোচনায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল বিজেপির গুণ্ডাবাহিনী। শুক্রবার কলকাতায়...

এবার ওষুধেও ১০০% শুল্ক ট্রাম্পের! বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা ভারতের

ট্রাম্প-মোদির বন্ধুত্বের সম্পর্ক (Trump-Modi relationship) কিছুতে ঠিক হচ্ছে। ট্রাম্পের শুল্কবাণে অতিষ্ট ভারত। তাও প্রকাশ্যে কিছু বলে উঠতে পারছে।...

চতুর্থীতে কলকাতা পুলিশের হাত ধরে পুজো পরিক্রমা প্রবীণ-বিশেষভাবে সক্ষমদের

দুর্গাপুজোর (Durga Puja) মরসুম মানেই শহরজুড়ে ভিড়, শব্দ, আলোর ঝলকানি। তবে এই উৎসবের জোয়ারে যাঁরা পা মেলাতে পারেন...

অনাচার-কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই: বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য মুখ্যমন্ত্রীর

আজ পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের (Ishwar Chandra Vidyasagar) জন্মবার্ষিকী। তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এক্স (X)...