“যারা দুর্যোগ নিয়ে রাজনীতি করে, তাদের আমি ধিক্কার জানাই”। মঙ্গলবার, দিনভর প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামলানোর প্রশাসনিক কাজের উপর নজরদারির পরে সন্ধেয় ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুজো উদ্বোধনে আগে নাম না করে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “কোনও কোনও রাজনৈতিক দল এই দুর্যোগ নিয়েও রাজনীতি করছেন, তাঁদের আমি ধিক্কার জানাই।”

মমতা বলেন, ১৯৭৮-এর বন্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এবারের এই বিপর্যয়। কিন্তু এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ (Natural Calamity) নিয়ে বিরোধীরা যে রাজনীতি করছে তার তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “এমন করা হচ্ছে যেন প্রকৃতিও আমাদের হাতে! ভদ্রতার একটা সীমা আছে।” উত্তর ভারতের প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মমতা বলেন, “উত্তরাখণ্ডকে আমরা জলে ডুবুডুবু বলতে পারতাম। কিন্তু করিনি।”

রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান জানান, “কলকাতায় আমরা জমাজল অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এবারে আমাদের সামলাতে হচ্ছে বিহারের জল, উত্তরপ্রদেশের জল। উত্তরাখণ্ডের জল। মানে প্লাবন। ওদিকে ডিভিসি, ফারাক্কা, পাঞ্চেত, ময়ুরাক্ষি, এগুলি একটাও আমাদের আন্ডারে নয়। এবং এর ড্রেজিংয়ের টাকা আমাদের কাছে এক পয়সাও দেওয়া হয়নি। এটা পরিষ্কার যারা এইসব লিখলেন এক্স হ্যান্ডেলে, মিথ্যে কথা বলে, তাঁদের উদ্দেশ্যে বলব, দুর্যোগ নিয়ে খেলা করবেন না। যারা দুর্যোগকে নিয়ে রাজনীতি করেন, তাঁদের আমি ধিক্কার জানাই। উত্তরাখণ্ডে অত ধস নামার পরে, অত মৃত্যুমিছিলের পরেও আমরা কিন্তু একটা কথাও বলিনি।”

মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) জানান, “আমাদের সরকার সাড়ে পাঁচ হাজার পুকুর খুঁড়েছে। বাংলার জল বাংলা সামলাবে। কিন্তু বাইরে থেকে যে জল ঢুকে পড়ছে, সেটা রোখা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়।”

একবার কেন্দ্রকেই নিশানা করে তাঁর অভিযোগ, “ফারাক্কা ড্রেজিং ১৫ বছর ধরে করেনি ডিভিসি। তাতে প্রতিবছর দক্ষিণবঙ্গ ভাসে। বাংলাটা নৌকার মতো, সব জল বাংলায় এসে পড়ছে। গতকাল রাত্রে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে, তাতে জল নামতে দেরি হচ্ছে।”

–

–

–

–

–