শুক্রের সকালে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) অফিসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) টিম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা মন্ত্রীর সল্টলেকের বিসি ব্লকের অফিসে হাজির হন। নিরাপত্তারক্ষীদের মোবাইল ফোন জমা রাখা হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা কাউন্সিলর নিতাই দত্তের (Nitai Dutta)বাড়িতেও সকাল ছটা থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। জানা গেছে নাগেরবাজারের শ্যামনগর এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলের মালিকের বাড়িতেও হাজির হয়েছেন ইডি অফিসাররা।
নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতি সক্রিয়তা বাড়ছে। গত লোকসভা নির্বাচনের পর আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগেও সেই একই ছবি। ভোটযুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করতে না পেরে এজেন্সি রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। পূজো মিথ্যে না মিথ্যেই এবার ইডির অতি সক্রিয়তা শুরু। পুর নিয়োগ মামলার তদন্তের নামে এদিন সল্টলেক থেকে নাগেরবাজার, কাঁকুড়গাছি মিলিয়ে ৬ জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান ও জিজ্ঞাসাবাদ। কেন্দ্রীয় বাহিনির জওয়ানদের নিয়েই মন্ত্রীর বাড়িতে চলছে তল্লাশি অভিযান। কাউন্সিলর নিতাই দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নাগেরবাজারে এক চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট দীপক দে এবং কাঁকুড়গাছিতে এক অডিটর সঞ্জয় পোদ্দারের বাড়িতেও রয়েছেন ইডির আধিকারিকরা।

এদিন ইডির তল্লাশি অভিযান প্রসঙ্গে সুজিত বসু (Sujit Bose) বলেন, “ওরা প্রত্যেকবারই এরকম করে যখন ইলেকশন আসে। যাঁরা বিশেষ করে পার্টিতে কাজ করে তাঁদের বাড়ি অফিস সব জায়গায় যায়, এবার আমার রেস্টুরেন্টে গিয়েছে। এর আগেও রেইড করেছে, আমার বাড়িতে হচ্ছে নিতাইয়ের বাড়িতেও গিয়েছে। কিছু তো পাইনি ওরা। তারপরও আবার ইডি আসছে। মনে হয় টার্গেট করছে এই জায়গাটা। রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ হচ্ছে।ওদের কাজ ওরা করুক, আমাদের কাজ আমরা করব। দুর্নীতির কথা বললেই তো হল না, প্রমাণ থাকতে হবে। এখানকার মানুষ সব জানেন, বোঝেন। আমার সার্টিফিকেট এখানকার মানুষ।”

–

–

–

–

–

–

–
–
–


