চলতি বছরে বৃষ্টির জেরে নাজেহাল রাজ্যবাসী। যেখানে যেখানে বৃষ্টি হয়েছে সেই জায়গাগুলি কার্যত ভেসে গিয়েছে। জলমগ্ন কলকাতার (Kolkata) রাস্তা, পাহাড়ে বৃষ্টি-ধসে চিন্তায় ভাঁজ পড়েছে মানুষের কপালে। কিন্তু রাখে হরি তো মারে কে! প্রবাদ একেবারে সত্যি। কলকাতায় এবং শহর সংলগ্ন এলাকাগুলিতে সেপ্টেম্বর মাসে একরাতের বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও কোমর আবার কোথাও হাঁটু সমান জল জমে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে মানুষের একমাত্র ভরসা ছিল রিক্সায় (Rickshaw)। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে (North Bengal) প্রবল বৃষ্টি এবং ধসে যখন কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তখন ভরসা হাতি (Elephant)।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি (Rain) ধসে খুবই খারাপ অবস্থা হয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল কমপক্ষে ৩৩ জনের। ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন পর্যটকরা। এহেন পরিস্থিতিতে যে পর্যটকরা আটকে পড়েছিলেন জলদাপাড়ায় (Jaldapara) তাঁদের হাতির (Elephant) পিঠে চাপিয়ে উদ্ধারকাজ চালানো হয়েছে। পর্যটকদের নিয়ে আসা হয়েছিল নিরাপদ স্থানে। একদিনে বন্যপ্রাণী বিপন্ন, সেই বিপন্ন বন্যপ্রাণীদের নিয়ে পর্যটকদের উদ্ধারকার্যে লাগানো হয়েছে।

এদিকে দুর্গাপুজোর (Durga Pujo) আগে গতমাসে কলকাতায় রাতভর রেকর্ড (Record) বৃষ্টির জেরে কোথাও কোমর কোথাও হাঁটু পর্যন্ত যখন জল জমে গিয়েছিল তখন রকমাত্র ভরসা ছিল হাতে টানা রিক্সা। মানিকতলা, সুকিয়া স্ট্রিট, আমহার্স্ট স্ট্রিট- এই অঞ্চলগুলি চিরকালই বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সেই সময় জলমগ্ন রাস্তায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছেন রিক্সা চালকরাই। বিশেষ করে হাতে টানা রিক্সা এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। কিন্তু অনেক দুঃসময় প্রায় বাতিল হওয়া জিনিসগুলোই কাজে লাগে, প্রয়োজন হয়।

–

–

–

–

–

–

–


