৪ নভেম্বর থেকে দেশের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ইউনিমারেশনের কাজ শুরু করেছিল নির্বাচন কমিশন। ১১ নভেম্বরের মধ্যে ফর্ম বিলি শেষ করার নির্দেশ ছিল বিএলও-দের (BLO) জন্য। কিন্তু কমিশনারেই অপদার্থতায় সেই কাজের সময়সীমা বাড়াতে বাধ্য হয় কমিশন (Election Commission)। অথচ কমিশনের পূর্ববর্তী নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী এতদিনে ফর্ম সংগ্রহের (form collection) কাজ শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। আদতে সংগ্রহের পরে বিএলও-রা যে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন, সেই প্রশিক্ষণই (training) এখনও সম্পূর্ণ হয়নি রাজ্যে। কার্যত বৃহস্পতিবারও সেই ছবিই ধরা পরল রাজ্যজুড়ে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে বাংলায় ইনিউমারেশন ফর্ম (enumeration form) বিলির কাজ ৮৮.৮০ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়েছে। যার কাছাকাছি রয়েছে গুজরাট, যেখানে ৮৮.০৮ শতাংশ বিলি হয়েছে। এছাড়া তামিলনাড়ুতে ৭৮.০৯ ও রাজস্থানে ৭০.৯৪ শতাংশ বিলি হয়েছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে অনেক ক্ষেত্রে বাংলার চেয়ে বেশি ফর্ম বিলি হলেও বাকি সব রাজ্যই পিছিয়ে রয়েছে বাংলার থেকে। অর্থাৎ বাংলার বিএলওরা ঠিক কতটা পরিশ্রমের সঙ্গে কাজ করেছেন তা এখানেই প্রমাণিত।

আদতে কমিশনের পরিকল্পনাহীন এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়ার কারণেই যে ভুগতে হচ্ছে রাজ্যের মানুষকে তা প্রমাণিত হল আরও একবার বৃহস্পতিবার। রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃহস্পতিবারও বিএলও-দের প্রশিক্ষণ হয়। ইনিউমারেশন ফর্ম (enumeration form) নাগরিকদের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করার পর তা কিভাবে সিস্টেমে তুলতে হবে সেই প্রশিক্ষণ (training) দেওয়া হয়। অনেক জায়গাতে এখনও ব্লক স্তরেই সেই প্রশিক্ষণ হয়নি। ব্লক স্তরে প্রশিক্ষণ হলে তবে বুথস্তরে যাঁরা কাজ করছেন তাঁরা প্রশিক্ষণ পাবেন। ফলে ফর্ম এখনই বাড়ি বাড়ি থেকে সংগ্রহের কাজ করেও কোনও লাভ হবে না বিএলও-দের।

আরও পড়ুন: মৃত ভোটারের নামে ফর্ম জমা পড়লে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ কমিশনের

কার্যত ফর্ম বিলি, সংগ্রহের কাজ ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করে তা সিস্টেমে তুলে খসড়া তালিকা (draft voter list) ৯ ডিসেম্বর প্রকাশ করার দিন নির্ধারণ করার যে কল্পনা নির্বাচন কমিশন করেছে, তা যে বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে নয়, তা বৃহস্পতিবারও সত্য প্রমাণিত হল। সেক্ষেত্রে কমিশন যদি ৯ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশের দিন নির্ধারিত করে অনড় থাকে, তাতে যে ব্যাপক ভুল থাকার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনীতিকরা।

–

–

–

–

–


