এক মহাকুম্ভ ঘিরে দুই মৃত্যু মিছিল। বছর ঘুরতে চলল। অথচ আজও তা নিয়ে নীরব ডবল ইঞ্জিন একাধিক সরকার। অথচ বাংলায় লিওনেল মেসির (Lionel Messi) অনুষ্ঠানে বেসরকারি সংস্থার আয়োজনের গাফিলতিতে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে রাজ্যের বিজেপি নেতারা দিল্লি পর্যন্ত রাজনীতি করছেন। তাঁদের তোলা প্রশ্নে এবার মহাকুম্ভের (Mahakumbh) পদপিষ্টের ঘটনা ও কুম্ভে যাত্রা করা পুণ্যার্থীদের দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনার উল্লেখ করে চ্যালেঞ্জ তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)।
শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে (Yuba Bharati Krirangan) যে ঘটনা ঘটেছে তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ক্ষমা চাওয়া থেকে রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিক থেকে মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার উল্লেখ করে অভিষেক দাবি করেন, বাংলায় যে ঘটনা ঘটেছে তার এক ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চেয়েছেন। নিঁচু তারাই হয়, যাঁদের দম থাকে। একরোখা হয়ে তাঁরাই থাকে যাঁরা মৃত। আমরা জনগনের সামনে নত হয়েছি। যে পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই আধিকারিক থেকে স্টেডিয়ামের ম্যানেজমেন্ট, প্রশাসনিক আধিকারিক, মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আর সেখানেই নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) উদাহরণ টেনে অভিষেকের প্রশ্ন, কালো টাকা (black money) ফিরে এলো কী? দশ বছর তো হয়ে গেল। এই দেশের প্রধানমন্ত্রীই বলেছিলেন ৫০ দিনের মধ্যে ফিরিয়ে না আনলে যে কোনও জায়গায় নিয়ে গিয়ে যা শাস্তি দেবেন, মাথা পেতে নেব। ৫ হাজার দিন হয়ে গেল। তাঁদের প্রশ্ন করার ক্ষমতা রয়েছে আপনাদের।

আরও পড়ুন : যুবভারতীতে মেসির অনুষ্ঠানে দর্শকদের টাকা ফেরানো নবান্নের অগ্রাধিকারের তালিকায় শীর্ষে

যে বিজেপির নেতারা আজ যুবভারতীর ঘটনা নিয়ে এত শোরগোল তুলেছেন, এমনকি দিল্লিতেও বাংলার বদনাম করতে পিছপা হচ্ছেন না, দিল্লি থেকে তাঁদেরই নিজেদের স্বরূপ তুলে ধরেন অভিষেক। মনে করিয়ে দেন মহাকুম্ভ ও দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনের ঘটনা। অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, কুম্ভে (Mahakumbh) কত লোক মারা গিয়েছে? একটা ক্ষমাও চায়নি। তদন্ত কমিটি, গ্রেফতারি সব ছেড়ে দিন। প্রকাশ্যে এসে একটা ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি। সেই মানুষগুলো তো এসে প্রশ্ন করছেন। এই জন্যই বিজেপি হারে। আর তৃণমূল তাঁদের হারায়।

–

–

–

–

–


