বিজেপি বলেছিল বাংলায় এক-দেড় কোটি রোহিঙ্গা, অগণিত বাংলাদেশি নাগরিক আছে। তারা কোথায় গেল? বাংলার ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপিকে তীব্র নিশানা করলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বুধবার দিল্লির সংসদ (Parliament) ভবনে দাঁড়িয়ে একই তিরে বিজেপি (BJP) ও মোদি সরকারকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, কাশ্মীরে এত অনুপ্রবেশকারী কী করে আসেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কী ওখানে সরকার চালান? অনুপ্রবেশ নিয়ে মিথ্যাচার করা বাংলার বিজেপি নেতাদের ক্যামেরার সামনে এসে কান ধরে ক্ষমা চাওয়া উচিত, সাফ জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
অমানবিক ভাবে পরিচালিত ‘SIR’ পরিচালনার চাপ সামাল দিতে না পেরে বাংলায় BLO-দের আত্মহত্যা করতে হয়েছে৷ এর দায় এড়াতে পারে না জাতীয় নির্বাচন কমিশন, সাফ জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷

আগামী বছর বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি টাকা দিয়ে বাংলার ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে লাভের লাভ কিছুই হবে না- কটাক্ষ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, টাকা খরচ করে বাংলায় নির্বাচন পরিচালনা করা যায় না৷ বিজেপির থেকে মানুষ যদি টাকাও নেন, তাহলেও তাঁরা ভোটটা তৃণমূল কংগ্রেসকেই (TMC) দেবেন৷ বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে গতবারের তুলনায় আসন বাড়বে তৃণমূলের, জানিয়ে অভিষেক জানান, আরও বেশি মানুষকে দলের পক্ষে আনতে হবে, ভোটের হার আরও বাড়াতে হবে, এটাই এখন তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ৷ বিজেপি বাংলার জন্য কী কী সমস্যা তৈরি করেছে, কীভাবে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করছে, সেই বিষয় নিয়ে আরও বেশি প্রচার করা প্রয়োজন, দাবি জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও খবর: শৃঙ্খলা মেনে চলতেই হবে: দলীয় সাংসদের বৈঠকে কড়া নির্দেশ লোকসভার দলনেতা অভিষেকের

এদিন তৃণমূলের রাজনৈতিক অবস্থান প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য জানাতে গিয়ে অভিষেক (Abhishek Banerjee) সাফ জানান, বাংলায় মন্দির-মসজিদ নিয়ে তৃণমূল কোনওদিন রাজনীতি করেনি৷ ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বসং হয়েছিল৷ তার এত বছর পরে এখন কেন মসজিদ নিয়ে আবার রাজনীতি করা হচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই প্রসঙ্গেই তাঁর দাবি, বাংলার ভোটে মসজিদ রাজনীতির কোনও প্রভাব পড়বে না৷

বাংলার বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের তরফে যদি আসন সমঝোতার কোনও প্রস্তাব আসে তাহলে তৃণমূল কী বিবেচনা করবে? এর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানান, কংগ্রেসের তো কিছুই নেই৷ তারা যদি বাংলার শাসকদল তৃণমূলকে নিঃশর্ত সমর্থন জানায়, তখন ভেবে দেখা হবে৷

শুক্রবার বীরভূমে গিয়ে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফেরা সোনালি খাতুনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এদিন দিল্লি থেকে কলকাতা রওনা দেওয়ার আগে জানান অভিষেক।

–

–

–

–

