উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভরপুর শীতের আমেজ, সঙ্গে আবার উৎসবের মরশুম- তাই উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সকলেরই ক্রিসমাস (Christmas time) ডেস্টিনেশন যে শৈলশহর দার্জিলিং তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যিশু উৎসব শুরু হতে আর মাত্র ১ সপ্তাহ বাকি, তবে ইতিমধ্যেই দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) যেভাবে হোটেল-হোমস্টে বুকিং হয়েছে তাতে চওড়া হাসি ব্যবসায়ীদের মুখে। বোঝাই যাচ্ছে শহরকে টেক্কা দিয়ে বড়দিনে পর্যটকের ঢল নামতে চলেছে দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ের গ্রামীণ পর্যটনে। শীতের মনোরম আবহাওয়ায় বড়দিনে কাঞ্চনজঙ্ঘা (Kanchanjangha ) দর্শনের পর্যটকদের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো।


হাওয়া অফিস আগেই জানিয়ে দিয়েছে এই মুহূর্তে বৃষ্টি বা দুর্যোগের কোন সম্ভাবনা অন্তত পার্বত্য এলাকায় নেই। আলপাইন, ওকের জঙ্গল, পাখিদের কলতান, রকমারি পাহাড়ি ফুলের জলসায় কয়েকদিন সময় কাটাতে উদগ্রীব পর্যটক। ট্যুর অপারেটরদের মুখেও চওড়া হাসি। প্রায় ৭৫ শতাংশ বুকিং শেষ। ভালো ব্যবসার ইঙ্গিত মিলতেই হোটেল হোমস্টে মালিকরা পরিষেবা আরও উন্নত করার ব্যাপারে নজর দিয়েছেন। তবে শহরের হোটেলের থেকে একটু গ্রামীণ অফবিট ডেস্টিনেশনের হোমস্টেতে থাকার প্রবণতা বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। দার্জিলিং হোটেল অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং জেলার পাহাড়ি এলাকায় সাড়ে তিনশো হোটেল রয়েছে। কালিম্পংয়ে দুশো। প্রতিটি হোটেলেই বুকিং চলছে। ক্রিসমাসের পর বর্ষশেষ-বর্ষবরণেও যে এরকম ভিড় বজায় থাকবে তা মনে করছেন রাজ্য ইকো ট্যুরিজম কমিটির সদস্যরা।

–

–

–

–

–

–

–

–


