কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে খারিজ কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক মুকুল রায়ের (Mukul Ray) বিধায়কপদ। তবে, এর বিরুদ্ধে আর আইনি লড়াই করবে না পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার (Assembly) সচিবালয়। প্রথমে প্রথমে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা বললেও, শেষ পর্যন্ত আবেদন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)।
এই বিষয়ে স্পিকার জানান, “এই মামলায় মূল আবেদনকারী ছিলেন মুকুল রায়ের (Mukul Ray) ছেলে শুভ্রাংশু রায়। তাই ভবিষ্যতে কী করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত তাঁকেই নিতে হবে। বিধানসভার পক্ষ থেকে আর কোনও আবেদন করা হবে না।”

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির (BJP) টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে জয়ী হন মুকুল রায়। কিন্তু জয়ের কিছুদিন পরই জুন মাসে তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগ দেন। এরপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন। স্পিকারের কাছে আবেদন করে উত্তর না পাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যান বিরোধী দলনেতা। কিন্তু শীর্ষ আদালত জানায়, এই মামলার নিষ্পত্তি কলকাতা হাই কোর্টেই করতে হবে। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। মুকুল কেন পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (PAC) চেয়ারম্যান পদে থাকবেন- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আলাদা মামলা করেছিলেন বিজেপির কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়। ২টি মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির বেঞ্চে।
আরও খবর: SSC-র ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট

১৩ নভেম্বর হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রশিদির বেঞ্চ জানায়, দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজ করা হয়েছে। আদালতের রায়ের পরে বিষয়টি নিয়ে আইনি পরামর্শ নিয়েছিলেন স্পিকার। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের সঙ্গেও কথা হয়। দীর্ঘ আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হয়, এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিধানসভার সচিবালয় উচ্চ আদালতে আবেদন করবে না।

–

–

–

–

–

–
–


