ভোটের আগে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Bangladesh)। নৈরাজ্যের আগুনে উত্তেজনা বাড়ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে। ঢাকা-চট্টগ্রামে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা, ধানমান্ডিতে প্রগতিশীল ধর্মনিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ‘ছায়ানট’-এর সাততলা ভবনের প্রতিটি কক্ষে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর পর এবার আওয়ামী লিগের (Awami League) অফিস ভাঙতে নামল বুলডোজার। শাহবাগ, মীরপুর,গুলশন, বারিধারাসহ ঢাকা শহরের বহু এলাকায় বিক্ষোভ চলছে। জ্বলছে বাংলাদেশ কাওয়ান বাজার (Kawran Bazar, Bangladesh)। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু মুজিবের বাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে খবর মিলেছে।
কোথাও সাংবাদিক খুন, সংবাদপত্রের অফিসে ভাঙচুর তো, কোথাও প্রকাশ্যে হিন্দু যুবককে পিটিয়ে-পুড়িয়ে হত্যা করার একাধিক ছবি ধরা পড়েছে। দিপুচন্দ্র দাস নামে ওই যুবককে কারখানা থেকে বের করে পিটিয়ে মারার পাশাপাশি গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় উত্তেজনা প্রশমন করে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন মহম্মদ ইউনূস (Md Younus) । ঢাকার রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতা তথা ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ওসমান হাদি। বৃহস্পতিতে তার মৃত্যুর খবর আসতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। ভারতে বসেই বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) হাদিকে মারার ছক কষেছিলেন ছিলেন বলে স্লোগান চলতে থাকে। তীব্র ভারতবিদ্বেষে একের পর এক ভারতীয় দূতাবাসের সামনে হামলা চালানো হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস ভিডিও বলেন, হাদি ছিলেন সন্ত্রাসবাদের শত্রু। তাঁকে হত্যা করে মানুষের কণ্ঠরোধ করতে পারবে না গণতন্ত্রের শত্রুরা। তাঁর মৃত্যুতে আগামী শনিবার শোকদিবস পালন করা হবে বলেও জানান। সেদিন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। শুক্রবারও বিশেষ নামাজ পাঠের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি শান্ত থাকার আহ্বান জানালেও, ফের অগ্নিগর্ভ পদ্মাপাড়। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভের আগুন।


ভারত যেমন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ঠিক তেমনই বাংলাদেশের সামগ্রিক এই অরাজকতা নিয়ে মুখ খুলেছে সে দেশের রাজনৈতিক দলগুলিও। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী শক্তি ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার আর্জি জানিয়েছে। খালেদা জিয়ার দল বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে লিখেছেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি-সহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা তুলতে তৎপর হয়েছে।” গোটা ঘটনার জেরে অনেকে আবার আশঙ্কা করছেন যে এবারের বিক্ষোভ জুলাই আন্দোলনের থেকেও বড় হতে পারে। সেক্ষেত্রে যেভাবে ভারত বিদ্বেষ বাড়ছে তাদের দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এখন তা নিয়েই উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।

–

–

–

–

–

–
–
–


