যতই করো হামলা, আবার জিতবে বাংলা। নয়া স্লোগান এখন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মুখে মুখে। ২০২১-এর শোচনীয় হারের পর থেকে, বাংলার কণ্ঠরোধ করতে বিজেপি সবরকম পথ বেছে নিয়েছে। সেই কারণেই আজ বাংলা এক পরিকল্পিত ও নিরন্তর আক্রমণের শিকার:

বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় সরকার ৬.৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি কর সংগ্রহ করেছে, তবুও বাংলার প্রাপ্য ১.৯৬ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখেছে।

বাংলার মনীষীদের ও কৃষ্টিকে অপমান করে এখানকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধ্বংস করা হয়েছে।
পরিস্থিতি আজ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাঙালিদের ডিটেনশন ক্যাম্প, অবৈধভাবে দেশত্যাগ এবং গণহিংসার শিকার হতে হচ্ছে।

বাঙালিদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য ‘SIR’ নামক এক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

তাঁরা এখন বাঙালিদের অস্তিত্বের ওপর চরম আঘাত এনেছে। ‘বাঁচতে চাই, বিজেপি তাই’ স্লোগানের আড়ালে বাঙালিদের আত্মসমর্পণ করানোর চক্রান্ত চলছে।

কিন্তু বাংলা কোনোদিন অন্যায়ের সামনে মাথা নত করেনি। নবজাগরণের পুণ্যভূমি এই বাংলাই সারা দেশকে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছিল। এই মাটি থেকেই প্রথম ধ্বনিত হয়েছিল ‘জয় হিন্দ’। এখানেই সৃষ্টি হয়েছিল ‘বন্দেমাতরম’ এবং ‘জনগণমন’।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই অগ্নিগর্ভ বাংলা আজ আবারও নির্ভীক চিত্তে গর্জে উঠছে। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার এই যতই করো হামলা, আবার জিতবে বাংলা-এই লোগো, বাংলা-বিরোধী জমিদারদের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া বাংলার মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভকে তুলে ধরে, যাদের হাতে ক্রমাগত শোষিত, অপমানিত, নির্যাতিত হতে হচ্ছে রাজ্যের মানুষকে।

একটি ছবি হয়তো হাজার কথা বলতে পারে, কিন্তু এই ছবিটি গর্জে উঠে একটাই বার্তা দিচ্ছে:
বাংলা এক হয়ে রুখে দাঁড়াবে।
বিজেপি-কে বিদায় জানাবে।
আর ২০২৬ সালই হবে তাদের সেই প্রাপ্য বিদায়ের বছর। কোনোরকম করুণা, অনুশোচনা এবং ফিরে আসার সুযোগ সেখানে থাকবে না, এই বিদায় হবে গণতান্ত্রিক বিদায়।

এই ডাক ১০ কোটি মানুষের সম্মিলিত গর্জন, যা প্রমাণ করে বাংলা কারোর চোখরাঙানির পরোয়া করে না, কোনও হুমকির সামনে মাথা নোয়ায় না এবং আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে অপমান সয় না। বাংলার জয় নিশ্চিত। বাংলা জিতবেই।
আরও পড়ুন- এসআইআরের শুনানি শুরু হতেই আতঙ্কে আত্মহত্যার চেষ্টা গোঘাটের গৃহবধূর


