বিধানসভায় ডেঙ্গু বিতর্ক, যা বললেন মুখমন্ত্রী

ডেঙ্গু ঠেকাতে রাজ্য সরকার তৎপর। গত মে মাস থেকেই ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করছে সরকার। আজ শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় ডেঙ্গু নিয়ে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, এই রোগ নিয়ে আরও সচেতনতা দরকার। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এবার তিন কোটি গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে মৎস দফতরের পক্ষ থেকে। গত বছর যা 50 লক্ষ ছাড়া হয়েছিল।

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আর স্বাস্থ্য মন্ত্রী আক্রান্ত আর যে মৃতের যে সংখ্যা দিয়েছেন, তার মধ্যে কোনও মিল নেই। সঠিক সংখ্যাটি জানান। এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”চন্দ্রিমা শুধু সরকারি হিসাব দিয়েছে আর আমি বেসরকারিটাও ‘অ্যাড’ করলাম। ‘নো কনফিউশন’। আমি বলেছি বাংলাদেশে 50 হাজার আক্রান্ত । ডেঙ্গু প্রতিকার করতে আমাদের সকলের একটা ভূমিকা আছে।”

আরও পড়ুন-দুই দলবদলুর ঝগড়া! শোভন আইডেনটিটি ক্রাইসিসে ভুগছেন, খোঁচা জয়প্রকাশের

এ প্রসঙ্গে সমস্ত রাজনৈতিক জনপ্রিতিনিধিদেরকে তিনি দায়িত্ব নিয়ে ডেঙ্গু বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার অনুরোধও করেন। এই বছর এরাজ্যে দশ হাজারের মত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সরকারের নজরে এসেছে বলে এদিন বিধানসভায় স্বীকার করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্ট্যাচার্য। তিনি বলেন, বেশি আক্রান্ত হয়েছে উত্তর 24 পরগনা ও নদীয়ায়। উত্তর 24 পরগনায় 5479 জন ডেঙ্গু আক্রান্ত। তবে রাজ্য সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের মতে এই রোগ বাংলাদেশ থেকেই এ রাজ্যে ঢুকছে। তাই অবিলম্বে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা উচিত। বহরমপুরের সরকারি পৌরসভার অধীনে থাকা হরিজনরা 4 দিন ধরে ধর্মঘট করে বসে আছে , কোনও আবর্জনা পরিষ্কার হচ্ছে না , ডেঙ্গু ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে , বেতন বাড়ানোর দাবি করছে ওরা, কিন্তু সরকার চুপ কেন? মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করেন কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী , সেই নিয়ে কিছুক্ষন হট্টগোলও চলে অধিবেশনে।

আরও পড়ুন-মৃত্যুপুরী নরেন্দ্রপুর: এবার শ্যুটআউটে নিহত এলাকার “ডন”

Previous articleদুষ্কৃতীদের রোষে এবার মাতঙ্গিনী হাজরাও! অভিযোগের তির বিজেপির দিকে
Next articleদলের নেতার বেআইনি প্রাসাদ ভাঙলো তৃণমূল পুরসভাই