*রাজীবের বাড়তি ছুটির কোনও অনুমোদনই নেই*

বুধবার, 25 সেপ্টেম্বর, শেষ হয়েছে তাঁর ছুটির মেয়াদ। বৃহস্পতিবার কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিলো।কিন্তু ভবানী ভবনে আসেননি তিনি। শুক্রবারও ছিলেন গরহাজির। জল্পনা চলছিলো, ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে 30 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করার যে আর্জি পেশ করেছেন, তা নাকি মঞ্জুর হয়েছে।

কিন্তু নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর, ‘ফেরার’ রাজীব কুমার আদৌ ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন কিনা সেটাই স্পষ্ট নয়। সরকারি অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রশাসনিকভাবে রাজীবের বাড়তি ছুটির অনুমোদনই নেই। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার থেকে দফতরে রাজীবের গরহাজিরাকে ‘অনুপস্থিত’ হিসেবে দেখতে বলা হয়েছে। নবান্নের খবর, ADG-CID-র অফিসে না আসাকে ‘নট প্রেজেন্ট ইন অফিস’ হিসাবে গণ্য করারই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে,
রাজীবের গরহাজিরা নিয়ে কড়া মনোভাবই প্রদর্শন করতে চলেছে নবান্ন। ছুটি শেষ হওয়ার পরেও কাজে যোগ না দেওয়াকে ‘অবৈধ ভাবে ছুটি’ হিসাবে ধরা হচ্ছে। নবান্নের শীর্ষ মহলের বক্তব্য, এ রাজ্যে কোনও IPS-এর এভাবে ছুটির মেয়াদ শেষে না জানিয়ে ছুটি কাটানোর নজির নেই। প্রশাসনের বক্তব্য,ছুটিতে থাকার সময়ে যে কেউই উপযুক্ত কারন দেখিয়ে সেই ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করতে পারেন। রাজীবের ক্ষেত্রে DG-র হাতে রয়েছে ADG পদমর্যাদার অফিসারদের ছুটির মেয়াদ বাড়ানো-কমানোর ক্ষমতা। কিন্তু রাজীবের ক্ষেত্রে ছুটি চাওয়া বা তা মঞ্জুরের কোনও খবর নেই।
নবান্ন বিষয়টি নিয়ে আইনি পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইন বলছে, কোনও অফিসারের ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন গ্রাহ্য না হলে বা অনুমোদিত সময়ের পরেও তিনি কাজে যোগ না-দিলে সংশ্লিষ্ট অফিসারকে নোটিস দেওয়া হতে পারে। শো-কজ করা হতে পারে। নোটিসের জবাব না-মিললে পুলিশে জেনারেল ডায়েরি করার বিধানও আছে। নজির আছে বিভাগীয় তদন্তেরও। অনুপস্থিতি নিয়ে রাজীব বা তাঁর অফিস সরকারিভাবে এখনও কিছু বলেননি।
নবান্নের সিদ্ধান্ত, রাজীবের ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে প্রশ্নের মুখ পড়তে চায়না সরকার।

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleএ কী দেখলাম, টাকি বয়েজকে স্যালুট। কুণাল ঘোষের কলম