পুজোর পুরস্কার : কারা বিচার করেন এবং কীভাবে?

আগে ছিল শুধু এশিয়ান পেন্টস। এখন অসংখ্য পুরস্কার। পুজোকমিটির দৌড়। বিচারকদের ব্যস্ততা। পুরস্কার এসে পরিবেশকে অনেক ভালো করেছে সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রশ্নও থাকছে অনেক।

1) মায়ের অসুরদমনকারী আসল রূপটির বিচারের বদলে থিমের দাপটে শিল্পের নামে মূল চেহারাটাই হারিয়ে যাচ্ছে। এতে পুরস্কার হতে পারে। প্রকৃত মায়ের চেহারার বিচার হয় কি?
2) বিচারক বহু ক্ষেত্রে ফিল্মস্টার, খেলোয়াড়। তাঁরা মায়ের পুজোর প্রকৃত আধারটা বোঝেন তো? নাকি হুজুগ আর জৌলুসের বিচার। এখানে শাস্ত্রের মূল্য নেই।
3) পরিবেশ, বিদ্যুৎ সংযোগ, সমাজসেবার কাজ বিচারে আসে কি?
4) বড় পুজোগুলোকে পুরস্কার দিলে ব্র্যান্ড প্রমোশন বেশি। ফলে মাঝারি ও ছোট পুজোর দর কম।
5) বক্সিং বা কুস্তিতেও ওজন ভাগ থাকে। এখানে কেন তেমন হবে না? কয়েক কোটির প্রভাবশালী পুজোর সঙ্গে কীভাবে লড়বে ছোটরা? যারা কয়েকমাস ধরে মাঠজুড়ে কুটীরশিল্প করে, কীভাবে তাদের সঙ্গে লড়বে শহর কলকাতার রাস্তার পুজো, যাদের মাঠ নেই, আইন মেনে মন্ডপ করতেই যারা ক্লান্ত?

পুজোর পুরস্কার গভীরে ঢুকছে না। মান বাড়ছে না। পুরস্কারদাতাদের নিজস্ব প্রমোশনই অধিকাংশ ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাচ্ছে।

Previous articleচমকে দিচ্ছে তেজস এক্সপ্রেস
Next articleমৃত কচ্ছপের পেটে ১০৪ টুকরো প্লাস্টিক! কী সংকেত দিচ্ছে পরিবেশবিদেরা