সুদীপের হিন্দমোটরের বাড়িতে এবার লক্ষ্মীপুজো করবেন প্রীতমা

হিন্দমোটরের বাড়ি থেকে কার্নিভাল দেখতে কলকাতার পথে নবদম্পতি। ছবি : সংগৃহীত

পাত্র, এক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্মী হিন্দমোটরের সুদীপ ঘোষাল এবং পাত্রী শেওড়াফুলির প্রীতমা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই বিয়ের ‘গল্প’ গোটা রাজ্য জেনে গিয়েছে।
অষ্টমীর সন্ধ্যায় কলকাতায় একটি পুজোমণ্ডপে ঠাকুর দেখতে গিয়ে প্রীতমার সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি দেখা সুদীপের । সেখানেই বিয়ের প্রস্তাব। প্রীতমা রাজি হতেই হিন্দমোটরে আদর্শ স্কুল ঘোষপাড়ার পুজোমণ্ডপে মা দুর্গার সামনে সানাইয়ের বদলে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বিয়ে।

হুগলির হিন্দমোটরের সুদীপ এবারের দুর্গাপুজোয় পাওয়া স্ত্রী প্রীতমাকে নিয়ে শুক্রবার বিকেলে কলকাতার কার্নিভাল উপভোগ করলেন প্রাণভরে।বিয়ের চক্করে এবার কলকাতায় দুর্গাপুজোয় ঠাকুর দেখতে না পারার আক্ষেপ মিটিয়ে নিলেন কার্নিভালে গিয়ে। তার ফাঁকেই নবদম্পতি কথা বলেছেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও। সুদীপ বলেন,
“রবিবার আমাদের হিন্দমোটরের বাড়িতে প্রীতমা লক্ষ্মীপুজো করবে। এরপর সোমবার আমরা প্রীতমার বাপের বাড়ি শেওড়াফুলিতে যাব দশমীর প্রণাম করতে।”
সুদীপই বলেছেন, “বাবা বাবুলচন্দ্র অসুস্থ। আমিই একমাত্র ছেলে। পুজোর দিনে নতুন বৌ ঘরে আনায় খুশি হয়েছেন মা-ও”। তাঁর কথায়, “আমাদের পরিজনেরাও খুব খুশি। বিয়ের খবর পেয়েই আত্মীয়স্বজন, পাড়াপড়শিরা আমাদের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন।”
ওদিকে প্রীতমার বাবা সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বিমা সংস্থার কর্মী। মেয়ে-জামাই কতক্ষণে বাড়িতে বিজয়ার প্রণাম করতে আসবেন তারই অপেক্ষায় দিন গুনছেন তিনিও।
নবদম্পতির কথায়, “সোশ্যাল মিডিয়ার খারাপ দিক নিয়ে অনেক মতামত সামনে আসে। কিন্তু আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেই জীবনসঙ্গী খুঁজে পেয়েছি। আমাদের উদাহরণ অনেককেই নতুন করে ভাবতে শেখাবে। সেটাই আমাদের নৈতিক জয়।’

Previous articleইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রথম ধাপের উদ্বোধন দীপাবলির আগে, 24 অক্টোবর
Next articleমোদির উপহার আর দুপুরের আপ্যায়নের পদ জেনে নিন