জিয়াগঞ্জ : উৎপলের আত্মহত্যা করতে চাওয়ার তত্ত্ব সামনে আনল পুলিশ

জিয়াগঞ্জ খুনের কিনারা হলেও বিরোধী দলের নেতারা তা মানতে নারাজ। ঘটনার পিছনে তাঁরা রহস্যই দেখছেন। পাঁচ মিনিটে তিনটি খুনের তত্ত্ব তাঁরা মানতে নারাজ। নিহত বন্ধুপ্রকাশের স্ত্রী বিউটির ভাই ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্ত দাবি করে বসেছেন। আর তার জেরেই মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার অভিযুক্ত উৎপলের অকপট স্বীকারোক্তির কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। তাঁর দাবি, গভীর রাতের জেরায় উৎপল যে স্বীকারোক্তি করে তার মধ্যে ছিল না কোনওরকম অনুশোচনা। সে জানিয়েছে, খুন চেপে গিয়েছিল। নইলে বুড়োদার (বন্ধুপ্রকাশের ডাক নাম) বউ ছেলেকে মারতাম না। আবার খুনের পর উৎপল নাকি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিল। তার কথায়, ভেবেছিলেম ইলেকট্রনিক শক দিয়ে আত্মহত্যা করব। আবার একবার ভাবি, পুলিশের কাছে গিয়ে সব কথা খুলে বলি। শেষে ঠিক করি, যা হবার হবে। যা করেছি, বেশ করেছি। তারপর বাড়িতেই ছিলাম।

উৎপলকে হেফাজতে নেওয়ার পাশাপাশি তার দিদি-জামাইবাবুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। খুনের দিন রাতে সে দিদির বাড়ি থেকেই বেরিয়েছিল। অন্যদিকে জামাইবাবুর বিজেপি যোগ নিয়ে চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার। এলাকার বিজেপি নেতা তাকে দলের সমর্থক বলে স্বীকারও করে নিয়েছেন। তবে সদস্য বলতে রাজি নন। ফলে পুলিশ জিয়াগঞ্জ ঘটনায় ইতি টানতে চাইলেও বিজেপি এবং বিরোধী নেতারা মোটেই এখানে শেষ করতে চাইছেন না। তাঁরা জিয়াগঞ্জের ঘটনাকে সরকার বিরোধী আন্দোলনের হাতিয়ার করতেই চাইছেন।