জেল পালানোর চেষ্টার মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেলেন রাজনৈতিক বন্দী দীপক কুমার

২০১৫ সালের মে মাসে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারিনটেনডেন্ট দেবাশীষ চক্রবর্তী হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন যে ছত্তিসগড় এর দূর্গ জেলার বাসিন্দা রাজনৈতিক বন্দী দীপক কুমার আর একজন বিচারাধীন বন্দী শামিম হাওলাদার এর সাথে ষড়যন্ত্র করে জেল পালানোর চেষ্টা করছিলেন এবং জেল কর্মীরা তাদের হাতেনাতে পাকড়াও করেন। অন্যদিকে দীপক কুমার এর বক্তব্য ছিল যে জেলের মধ্যে বন্দীদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে আন্দোলন করায়, তাকে শায়েস্তা করবার জন্য জেল প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।
সেই মামলার বিচার চলছিল ব্যাঙ্কশাল আদালতের ১১ নম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর এজলাসে। আজ সেই মামলার রায় ঘোষণা হল এবং বিচারক দীপক কুমার ও শামীম হাওলাদার দুজনকেই নির্দোষ ঘোষণা করেন।

এই রায়ে প্রমাণ হল বর্তমান সরকারের আমলে রাজনৈতিক বন্দীদের ওপর কি ধরনের নির্যাতন চলছে, যেখানে ন্যায্য অধিকার এর জন্য আন্দোলন করলেও তাদেরকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে।

পি পি এস সি দীর্ঘ দিন ধরে এই মামলার দেখভাল করছিল। এই রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি এবং যারা এই মিথ্যা মামলা সাজিয়েছিল তাদের শাস্তি এবং দীপক কুমার কে ক্ষতিপূরণ দেবার দাবি জানাচ্ছি। যদিও এই মামলায় খালাস পেয়েও রাজনৈতিক বন্দী দীপক কুমার জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। কারণ তিনি ২০১২ সালের এন আই এ র একটি কেসে বন্দী আছেন, যে মামলায় আজ সাড়ে সাত বছরে সবেমাত্র কমপ্লেনার সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। যদিও উক্ত মামলাটি পি পি এস সি দেখভাল করছে না।

দীপক কুমার সহ সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীর অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে আন্দোলন জোরদার করবার জন্য পি পি এস সি সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তির কাছে আহ্বান রেখে বিবৃতি দিয়েছে।

আরও পড়ুন-রাজ্যপালের নিরাপত্তায় এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী

 

Previous articleরাজ্যপালের নিরাপত্তায় এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী
Next articleকালীপুজো-দীপাবলীর আগে টালা পার্কে হয়ে গেল বাজি পরীক্ষা