রাজ্যে NRC চালুর দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১ কোটি চিঠি পাঠাচ্ছে বঙ্গ-বিজেপি

রাজ্যে NRC চালুর দাবিতে জোরদার আন্দোলনে নামছে বঙ্গ-বিজেপি। এ বিষয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্যোগ নিতে বলবে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

পশ্চিমবঙ্গে NRC চালুর কথা প্রথম বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ, লোকসভা ভোটের প্রচারে রাজ্যে এসে। রাজ্য থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী তাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মোদি-শাহই। তারপর থেকে এই একই দাবি সমানেই করে চলেছেন বঙ্গ-বিজেপির নেতানেত্রীরা। অসমে নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের পর এ রাজ্যে NRC চালু করা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে। NRC চালু করে বাংলাদেশি তাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিলীপ ঘোষও। তাঁর দাবি, 2 কোটি বাংলাদেশিকে ভারত ছাড়া করা হবে। দিলীপবাবুর দাবিমতো এই 2 কোটির মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন থাকা স্বাভাবিক। ওদিকে কেন্দ্র তথা বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি থাকতে একজনকেও রাজ্য ছাড়তে হবেনা।

NRC নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখন এতখানি ঘোরালো তখনই
রাজ্যে NRC চালু ও দ্রুত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করানোর দাবিতে আসরে নামছে রাজ্য বিজেপি। দলের সিদ্ধান্ত, এই দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হবে 1 কোটি পোস্টকার্ড।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি আগেই দাবি করেছেন, ক্ষমতায় আসলে NRC চালু করে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো হবে। হিন্দুরা এদেশেই থাকবেন। কখনও আবার দাবি করেছেন, 2 কোটি বাংলাদেশের নাগরিক রয়েছে এদেশে। তাদের সনাক্ত করে দেশছাড়া করা হবে।
বিজেপির NRC লাগুর মোকাবিলায় পথে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। স্পষ্টভাবে তিনি জানিয়েছেন, তিনি থাকতে কোনওভাবেই এ রাজ্যে NRC চালু হবে না। তৃণমূল বলছে, NRC হলে অসমে রেমন 12 লক্ষ হিন্দু বাঙালির নাম রয়েছে তালিকায়, এরাজ্যেও তেমনটাই হবে। তৃণমূলের পাল্টা হিসেবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা তুলেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির অভিযোগ, এই বিল পাশে বাধা দিয়েছে তৃণমূল।

এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে NRC চেয়ে চিঠি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত বঙ্গ-বিজেপি নিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ স্থির হয়েছে, 1 নভেম্বর থেকে পোস্টকার্ড পাঠানো শুরু হবে। ওই চিঠিতে NRC চালুর সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল শীতকালীন অধিবেশনে পাশ করানোর দাবিও করা হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

1 কোটির মধ্যে 20 থেকে 25 লক্ষ পোস্টকার্ড পাঠাবে বিজেপির মহিলা মোর্চা। সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। রাজ্যের মানুষের মনোভাব আমরা তুলে ধরতে চাই। সে কারণেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি আবেদন করছি।”

আরও পড়ুন-বহিষ্কারের পেন্ডুলাম ঝুলছে সুশান্তের উপর, মতভেদ দলেই

 

Previous articleবহিষ্কারের পেন্ডুলাম ঝুলছে সুশান্তের উপর, মতভেদ দলেই
Next articleটালায় নয়া ব্রিজ গড়তে মাটি পরীক্ষার টেন্ডার তলব পূর্ত দফতরের