হরিয়ানায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়েও ‘নতুন বন্ধু’ খুঁজে সরকার গঠন করে ফেলেছে বিজেপি। আর মহারাষ্ট্রে জোট করে ভোটে লড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরেও সরকার গঠনে হিমশিম খাচ্ছে পদ্মশিবির। সৌজন্যে, ‘পুরনো বন্ধু’ শিবসেনা। ফলপ্রকাশের পর থেকেই জোট শরিক শিবসেনার চাপ, কটাক্ষ ও হুমকি সামলাতে ব্যতিব্যস্ত বিজেপি। চাপের মুখে তলায় তলায় বিকল্প পথের খোঁজও শুরু হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বাড়িতে বৈঠকে বসেন বিজেপি বিধায়ক ও নেতারা। ফড়নবিশ স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন, আড়াই বছর করে দু-দলের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ভাগাভাগির প্রশ্নই নেই। তিনিই পূর্ণ সময়ের জন্য দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। ফড়নবিশ বলেন, অমিত শাহ নিজে আমাকে জানিয়েছেন,এবারের বিধানসভা ভোটের আগে দু-দলের মধ্যে 50:50 ফর্মূলা নিয়ে কোনও কথা হয়নি। শিবসেনা এখন ঠিক কথা বলছে না। বিজেপির এক সাংসদ বলেন, শুধু 15 জন নির্দল বিধায়কই নয়, শিবসেনারও জনা পঞ্চাশ বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, ঘর গোছানোর সময় নিচ্ছে বিজেপি। শিবসেনার আক্রমণের মুখে সম্ভাব্য বিকল্প পথে সরকার গড়ার প্রস্তুতিও রাখা হচ্ছে। শিবসেনাকে বাদ দিয়ে এনসিপি-র সমর্থন আদায়ের জল্পনা থাকলেও এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার জানিয়েছেন, আমরা বিজেপি ও শিবসেনা দুই দলেরই বিরোধী। আমরা বিরোধী আসনেই বসব।
দুই শরিকের টানাপোড়েনের মধ্যেই ঠিক হয়েছে, কাল বুধবার বৈঠকে বসবে বিজেপি ও শিবসেনা। এরপর আগামী 1 নভেম্বর শুক্রবার মুম্বাই আসবেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। ততদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে মহারাষ্ট্রের মহানাটক।