হাহাকার আর কান্নায় সাগরদিঘি যেন শ্মশান, দেহ ফিরছে বিমানে

মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি জুড়ে এখন শুধুই হাহাকার। পাঁচজনের পরে ছজন- চলেছে মৃত্যুমিছিল। বুধবার বিকেল পাঁচটার বিমানে শ্রীনগর থেকে দেহ যাবে দিল্লি। সেখান থেকেই বিমানে নেতাজি সুভাষ বিমানবন্দরে আনা হবে দেহ। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের ডেপুটি রেসিডেন্ট কমিশনার।

বাড়ির ছেলে একটু বেশি টাকার আশায় গিয়েছিলেন কাশ্মীরের আপেল বাগানের কাজে। সেখানে অশান্তি শুরু হয়েছিল কয়েকদিন আগেই। আঁচ পেয়েছিলেন শ্রমিকরা। সেই কারণে বুধবারই ফিরে আসতে চেয়েছিলেন রফিক, কামরুদ্দিন, মুরসালিমরা। কিন্তু আর আসা হল না। মঙ্গলবার, দুপুরে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারালেন মুর্শিদাবাদের ৬ শ্রমিক।
কিন্তু এঁরাই শেষ নন। আরও মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা কাশ্মীরের আপেল বাগান কাজ করতে গিয়েছেন। কী হবে তাঁদের? কীভাবে ফিরবেন তাঁরা? সেখানে নিরাপদে আছেন তো? এখন এই চিন্তা কুরে কুরে খাচ্ছে সাগরদিঘির বেশিরভাগ পরিবারকে।

কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক নয়। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ রাখা যাচ্ছে না সব সময়। বাড়ির লোকেরা বুঝতে পারছেন না কীভাবে জানবেন পরিস্থিতি। অর্থ নয়, এখন সুস্থ শরীরে ফিরে আসুক বাড়ির মানষ, এটাই চাইছে সাগরদিঘী গ্রাম।
আর যে ৬ শ্রমিকের বুধবার দিন ট্রেনে ফেরার কথা ছিল, কফিনবন্দি হয়ে তাঁদের দেহ আসছে বিমানে।

আরও পড়ুন-EXCLUSIVE: অন্য জেলে মির্জাকে স্থানান্তরের আবেদন তাঁর আইনজীবীদের

 

Previous articleEXCLUSIVE: অন্য জেলে মির্জাকে স্থানান্তরের আবেদন তাঁর আইনজীবীদের
Next articleকাশ্মীরে বাঙালি শ্রমিক হত্যার দায় মোদি সরকারের উপর চাপালেন সোমেন