আসন্ন তিন আসনের বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে ফের গরম হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। গুরুত্বপূর্ণ এই তিন আসনে ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট জোটও প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করা বিজেপি।

তবে দলীয় সূত্রের খবর অনুসারে, খড়গপুর আসনে দিলীপ ঘোষের নির্বাচনী এজেন্ট প্রেমচাঁদ ঝাঁ, করিমপুরে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার এবং কালিয়াগঞ্জে নির্মল দাম পদ্মফুল চিহ্নে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। তবে যে কোনও মুহূর্তে এই তালিকা পরিবর্তিত হতে পারে।


কারণ, গত লোকসভা নির্বাচনেও বিভিন্ন আসনে অনেক প্রার্থীর দাঁড়ানো নিশ্চিত হওয়ার পরেও, দিল্লি থেকে যখন চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হলো, তখন দেখা যায় সেই প্রার্থীদের নাম নেই। পরিবর্তে অন্য প্রার্থীর নাম। তাই উপনির্বাচনে কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষরা প্রার্থীর নাম সুপারিশ করলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির নির্বাচনী কমিটি। বিজেপিরই অন্দরমহলের খবর, কলকাতা থেকে প্রার্থীর নাম দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই মাঝপথে অনেক কিছু এদিক-ওদিক হয়ে যায়। তাই না আঁচালে বিশ্বাস নেই।

এবার উপনির্বাচনের আসনগুলিতে বেশ সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে গেরুয়া শিবির। গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে খড়্গপুর আসনে ৪৪ হাজারের বেশি ভোটে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে এগিয়েছিল বিজেপি। কালিয়াগঞ্জেও বিজেপি প্রায় ৫৭ হাজার ভোটে এগিয়েছিল। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত করিমপুরে অবশ্য বিজেপির থেকে ১৪ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। বাম ও কংগ্রেসের ভোট ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ায় বিজেপির প্রাপ্ত ভোট বেড়ে গিয়েছিল।


উল্লেখ্য, আগামী ২৫ নভেম্বর খড়্গপুর সদর, করিমপুর ও কালিয়াগঞ্জ এই তিন আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে। খড়্গপুরে বিজেপির দিলীপ ঘোষ, করিমপুরে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ায় এবং
কালিয়াগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথনাথ রায়ের প্রয়াণে তিনটি আসন শূন্য হয়। ভোট গণনা হবে ২৮ নভেম্বর।
