সমাবর্তনের পরিদর্শক হিসেবে বিশ্বভারতীতে রাষ্ট্রপতি

রবিবার দুদিনের সফরে শান্তিনিকেতনে এলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ১১ নভেম্বর বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। বিনয়ভবনের কুমিরডাঙা মাঠে নামে রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং প্রমুখ। হেলিপ্যাড থেকে বিশ্বভারতীর রথীন্দ্র অতিথিগৃহে আসে রাষ্ট্রপতির কনভয়। এখানেই রাত্রিবাস করবেন তিনি। ১১ নভেম্বর সকাল ১০.৩০ মিনিটে আম্রকুঞ্জের জহরবেদীতে সমাবর্তনে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। প্রথা অনুযায়ী পড়ুয়াদের হাতে সপ্তপর্ণী (ছাতিমপাতা) ও শংসাপত্র তুলে দেবেন তিনি।

১১ নভেম্বর বিশ্বভারতীর আম্রকুঞ্জে সমাবর্তন অনুষ্ঠান। প্রথা অনুযায়ী আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী সমাবর্তনে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি সময় দিতে না পারায় পরিদর্শক হিসাবে রাষ্ট্রপতি উপস্থিত থাকবেন । থাকবেন রাজ্যপাল জগদীশ ধনখড। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীকেও আমন্ত্রন জানিয়েছে বিশ্বভারতী।

তবে এবার ও সমাবর্তন পর্বে বিশ্বভারতী সর্বোচ্চ সন্মান দেশিকোত্তম সহ অন্যান্য পুরস্কার দেওয়া পথা বন্ধ থাকছে। শেষ ২০১৩ সালের সমাবর্তনে দেশিকোত্তম, গগন, অবন, রথীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত ২০১৮ সালে আচার্য নরেন্দ্র মোদির উপস্থিততে সমাবর্তনে দেশিকোত্তম সহ কোন পুরস্কার দেওয়া হয়নি। পুরস্কার প্রাপকদের নাম তৎকালীন মানব সম্পদ মন্ত্রককে পাঠানো হলেও তা অনুমোদিত হয়নি। । এবারও এই পুরস্কার দেবার জন্য অনুমতি চাওয়া হলেও সময়ে অভাবে তা বাতিল করা হয়েছে বলে বিশ্বভারতী সূত্রে খবর।

সমাবর্তনের শেষে রাষ্ট্রপতি বিশ্বভারতী আশ্রম প্রাঙ্গন ঘুরে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করায তার ও প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্বভারতী।

Previous articleএখনও শঙ্কা কাটেনি লতা মঙ্গেশকারের
Next articleদক্ষিণবঙ্গ জুড়ে “বুলবুল” দাপট, সপ্তাহখানেক পিছিয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর রাস উৎসবে যাওয়ার দিনক্ষণ