খেলার মাঠে হেলিপ্যাড, ক্ষুব্ধ কোচবিহারবাসী

প্রথমবারের জন্য কোচবিহারের ঐতিহাসিক রাসমেলায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোচবিহারের বিমানবন্দর থাকলেও, রাজবাড়ি স্টেডিয়ামে তৈরি হচ্ছে হেলিপ্যাড। স্টেডিয়ামে বিভিন্ন ত্রীড়া অনুষ্ঠান হয়। বিমানবন্দর থাকার সত্বেও কেন খেলার মাঠে হেলিপ্যাড তৈরি হচ্ছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

কোচবিহার স্টেডিয়াম স্থানীয়দের কাছে রাজবাড়ি স্টেডিয়াম নামেই পরিচিত। সেখানে একসময় ক্রিকেট খেলতেন কোচবিহারের মহারাজা জগদীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপবাহাদুর। এরপর, জাতীয় স্তরের একাধিক খেলা হয়েছে ওই মাঠে। কোচবিহার ট্রফিও হয় রাজবাড়ি স্টেডিয়ামেই। সেই কারণে এই মাঠ ঘিরে যথেষ্ট আবেগ রয়েছে কোচবিহারবাসীর। কিন্তু সেই মাঠ খুঁড়ে হেলিপ্যাড বানানো হচ্ছে। এর জেরে ক্ষুব্ধ কোচবিহারবাসী।

২০০৬ থেকে কাজ শুরু করে ২০০৮-তে টার্ফ পিচ তৈরি হয় কোচবিহার স্টেডিয়ামে। গদাধর নদীর নীচে থেকে তুলে আনা মাটি দিয়ে এই পিচ তৈরি করে তৎকালীন জেলা ক্রীড়া সংস্থা। বল্ডার আনা হয় জয়ন্তী থেকে। পরবর্তীতে একাধিকবার প্রলেপ দেওয়া হয়েছে পিচে। সেই পিচের জায়গাই জিসিপি দিয়ে খুঁড়ে করে তৈরি হচ্ছে হেলিপ্যাড। এর আগে এমজেএন স্টেডিয়াম ও এবিএন শীল কলেজের মাঠেও হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছিল। এই বিষয়ে কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক অভিযোগ করেন, কোচবিহারের খেলার পরিবেশ নষ্ট করেছে তৃণমূল। তবে, কোচবিহারের পুর প্রধান তথা স্টেডিয়াম উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ভূষণ সিং বলেন, টার্ফ পিচ আবার নতুন করে তৈরি করতে হবে। সেই কারণেই একবারে খোড়াখুড়ির কাজটা করে নেওয়া হচ্ছে। হেলিপ্যাড তৈরি হলে পিচ আরও বেশি মজবুত ও শক্ত হবে বলেই দাবি তাঁর। কিন্তু ইট-বালি-সিমেন্ট দিয়ে তৈরি হ্যালিপ্যাড তৈরি ফলে আগামী দিনে মাঠে ফুটবল খেলতে সমস্যা হবে বলে দাবি ক্রীড়াপ্রেমীদের।

Previous articleডায়মন্ডহারবারে স্টেশন মাস্টার খুনে যেন হুবহু মনুয়া-কাণ্ডের ছায়া
Next articleপুলিশ ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ টোটো চালকদের