বৈশাখীর মান রাখতে ক্রুদ্ধ করলেন দিদিকে, কুল রাখতে মেননের দরজায় শোভন!

বেশ ভালই মেকআপ করে এনেছিলেন। কিন্তু খোঁচা দেওয়ার অভ্যাসটা ছাড়তে পারেননি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। তাই ভাইফোঁটা পর্ব সেরেই স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এসএমএস পর্ব। আর তাতে যারপরনাই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবস্থা বেগতিক বুঝে শোভন-বৈশাখী জুটি দক্ষিণ কলকাতার নার্সিংহোমে দেখতে গেলেন চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেননকে। রইলেন প্রায় তিরিশ মিনিট। শোভন-বৈশাখী বলছেন, এটা অসুস্থ মানুষের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ। আর নিন্দুকেরা বলছেন, এটা আসলে শ্যাম আর কুল রাখার চেষ্টা। দু’নৌকোয় পা দিয়ে ভারসাম্য রাখার চেষ্টা।

ভাইফোঁটা পর্বের পর থেকেই পুরনো দলের কাছাকাছি আসা শুরু হয়েছিল শোভন-বৈশাখীর। গিয়েছিলেন কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনে। আমন্ত্রণ ছিল সমাপ্তিতে। স্ত্রী রত্না যাচ্ছেন বলে তিনি যাননি। গিয়েছিলেন শিক্ষমন্ত্রীর কাছেও। সেখানে বিজেপিতে নেই ইঙ্গিত দিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু এসএমএস প্রকাশিত হওয়ার পরেই যুগলের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হন নেত্রী। দুজনেই বোঝেন সমস্যা বেড়েছে। তাই বিজেপির দরজা খুলে রাখতেই অরবিন্দকে দেখার ছুতো বলে মনে করছেন দলের একাংশ।

কী ছিল সেই এসএমএসে? শোভন নাকি রত্নাকে লিখেছিলেন –” সত্যের জয় হল। আজ বৈশাখীর সম্মানের জন্য লড়ে জিতলাম তো! এবার মিউচুয়াল ডিভোর্স দাও।’ শোভন অবশ্য এসব পাঠাননি বলে দাবি। রত্নার নম্বর ব্লক করা ছিল! যদিও রত্না বিষয়টি ব্যক্তিগত বলে এসএমএস নিয়ে থানায় অভিযোগও জানান।

Previous articleপ্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মধ্যে খড়গপুর হাতছাড়া হলে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে
Next articleরোগযন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক