মডেলিং জগতে ঢুকতে না পারায় আত্মঘাতী নামী স্কুলের ছাত্রী

ফের অভিমানে আত্মঘাতী স্কুলপড়ুয়া৷ টিউশনে যাওয়ার নামে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি দক্ষিণ কলকাতার এক নামী স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুমেধা বসু। সুমেধার বাড়ি রানিকুঠিতে৷ সেখানকারই একটি দিঘি থেকে শুক্রবার রাতে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ‘অভিমানে’ দিঘির জলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে 17 বছরের ওই ছাত্রী। অভিনয়-মডেলিং জগতে ঢুকতে বাবা-মা বাধা দিয়েছিলো, সেই অভিমানেই সুমেধা প্রাণ দিয়েছে বলে মনে করছেন বাড়ির লোকজন৷

রানিকুঠি এলাকার কেএম নগরের বাসিন্দা সুমেধার বাবা স্বপন বসু পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, মডেল হওয়ার ইচ্ছে ছিল মেয়ের। কিন্তু তিনি এবং তাঁর স্ত্রী দু’জনেই মেয়েকে জানিয়েছিলেন, উচ্চমাধ্যমিক শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই ভাবা যাবে না। এ নিয়ে বাড়িতে বেশ কয়েকবার কথা কাটাকাটিও হয়েছে। সেই ‘অভিমানেই’ সুমেধা আত্মঘাতী হয়েছে বলেই বসু দম্পতির ধারণা। পুলিশকেও তাঁরা তেমনই জানিয়েছেন৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে টিউশনে যাওয়ার নামে সুমেধা বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্থানীয় রানিদিঘির কাছে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই কিশোরী ব্যাগ, মোবাইল দিঘির পাড়ে রেখে জলে ঝাঁপ দেয়। একটি মেয়েকে জলে ঝাঁপ দিতে দেখে স্থানীয় এক মহিলা চিৎকার করে লোক ডাকেন। কিন্তু ততক্ষণে তলিয়ে গিয়েছে সুমেধার দেহ। স্থানীয়রা কোনও ভাবে উদ্ধার করতে না পেরে পুলিশে খবর দেন৷ কলকাতা পুলিশের উদ্ধারকারী দল এসে দিঘি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার কর বাঙুর হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। দিঘির পাড়ে ফেলে রাখা সুমেধার ব্যাগ থেকে পরিচয়পত্র পেয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। সুমেধার ওই ব্যাগে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেই নোটে তার মৃত্যুর জন্য কাউকেই দায়ী করেনি সুমেধা। লেখাপড়ার চাপ বাড়তে থাকাকেই কারণ হিসেবে লিখেছে।

Previous articleআগামী বছর থেকে প্রাইমারি সেকশনে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে পঞ্চম শ্রেণি
Next articleরামচন্দ্র পুরুলিয়ায় এসেছিলেন সীতাকে নিয়ে, জানালেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো