কালই আস্থা ভোট, সংখ্যা জোগাড়ে চাপ বাড়ল ফড়নবিশ, অজিতের

১৭০ জনের সমর্থন দেখিয়ে শনিবার সকালে নজিরবিহীনভাবে রাজভবনে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। বিজেপি সরকারকে সমর্থনের কথা জানিয়ে ৫৪ জন এনসিপি বিধায়কের স্বাক্ষর করা চিঠি দেখান অজিত পাওয়ার। নিজেও উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। তারপর দুদিনে বহু তোলপাড় হয়েছে। বিজেপিকে সমর্থনের কথা অস্বীকার করেছেন দলের সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার। উল্টে ঘোষণা করেছেন অজিত ছাড়া এনসিপির বাকি সব বিধায়কই বিজেপির বিরুদ্ধে ও তিন দলের জোটের পক্ষে ভোট দেবেন। ফলে লড়াই টানটান। প্রবল চাপ বেড়েছে অজিত পাওয়ারের উপর। স্বস্তিতে নেই দেবেন্দ্র ফড়নবিশও। বিজেপির ১০৫ জন বিধায়কের সঙ্গে শুধু নির্দল বিধায়কদের যোগ করলে তা সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে অনেক কম। এনসিপি ও অন্য দলের বিধায়কদের ভোট না পেলে এযাত্রা তাঁর অবস্থা কর্নাটকের ইয়েদুরাপ্পার প্রথমবারের অবস্থার মত হতে পারে।

এদিকে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের ১৬২ জন বিধায়ক সোমবারই গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে মহা-প্যারেড করে ক্যামেরার সামনে প্রকাশ্যে জোটবদ্ধ শপথ নিয়েছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেবেন ও ক্রশ ভোটিং করবেন না। এই পরিস্থিতিতে সরকার টিঁকিয়ে রাখতে ১৪৫ জনের সমর্থন জোগাড়ই এই মুহূর্তে মহা-চ্যালেঞ্জ দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও অজিত পাওয়ারের সামনে।

 

Previous articleকংগ্রেসের সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল তৃণমূল-শিবসেনাও
Next articleমুম্বই হামলায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের